লকডাউনের জেরে নদী এবং সমুদ্রে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম থাকায় এ বছর ভালো ইলিশ ওঠার অনুমান করা হলেও, তাতে জল ঢেলে দিয়ে ইলিশের মন্দা ভাবাচ্ছে ট্রলার মালিকদের।
সূত্রের খবর, খারাপ আবহাওয়া এবং উত্তাল মঝাসমুদ্রের কারণে, বহু ট্রলার কে ফিরে আসতে হয় তীরে। তুলনামূলক হিসাব করে বলা যেতে পারে, ২০১৮ তে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে মোট ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়, ২০১৯- এ যা গিয়ে ঠেকে প্রায় অর্ধেকে - ১৯ হাজার মেট্রিক টনে। আর, এই বছর পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন।

যেখানে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে পাঠানো একটি ট্রলার পিছু খরচ হয় প্রায় ১৬-১৮ লক্ষ টাকা, সঙ্গে জ্বালানির মূল্যও ক্রমবর্ধমান, সেখানে এই লোকসান কিভাবে সামলে উঠবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ট্রলার মালিকরা। সুন্দরবন মৎস্যজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্রের কথায়, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার ট্রলারের জ্বালানির জন্য বিশেষ ছাড় না দিলে সামনের বছর সমুদ্রে ট্রলার নামানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।