প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও কলেজে দূর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে শেষ কয়েকদিন ধরেই। ইতিমধ্যেই বরখাস্ত হয়েছেন পরেশ অধিকারী, গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা। এরইমধ্যে আবার সামনে এল ব্যাঙ্কে (Bank) নিয়োগ দূর্নীতির খবর। জানা যাচ্ছে, তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt)। সেখানে নাম রয়েছে মন্ত্রী অরুপ রায়ের (Arup Roy)।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
আজ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখিত হয়েছে বেনিয়মে কোন কোন প্রভাবশালীদের আত্মীয় পরিজনদের নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপো, ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো, ব্যাঙ্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো, ব্যাঙ্কের সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাঙ্কের অন্যতম অধিকর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে, ব্যাঙ্কের আর এক অধিকর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলে চাকরি পেয়েছেন।
আরও অভিযোগ, ব্যাঙ্কের তরফে ৫২ টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নিয়োগ হয়েছে ১৩৪ জন। এও অভিযোগ উঠছে, অনেকে আবেদনপত্র জমা না দিয়েও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। ২০১৯ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। এবার সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা জমা করা হল আজ। যদিও এবিষয়ে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, "হাইকোর্টে কেউ অভিযোগ জানাতেই পারে। তবে এমন কোনও দুর্নীতি হয়নি।"