মহিলাদের মানতে হবে শরিয়ত আইন, একলাফে আফগানিস্তানে বাড়ল বোরখার চাহিদা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 18/08/2021   শেষ আপডেট: 18/08/2021 1:51 p.m.
instagram.com/ishrglobal

হিজাব পরতে হবে, তবে বোরখা বাধ্যতামূলক করা হবে না, নিশ্চিত করেছে তালিবানেরা

আফগানিস্তানে তালিবান রাজ কায়েম হওয়ার পরেই মহিলাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা পৃথিবী। কারণ, শরিয়ত আইন মেনে চলা তালিবানরা বরাবরই মহিলাদের কঠোর নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখতেই পছন্দ করেন। অতীত বলছে, মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার, বাইরে কাজের অধিকার এমনকি পছন্দ মতো পোশাক পরার অধিকারকেও মান্যতা দেয় না তালিবানেরা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে তালিবানদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই তারা একটি অঘোষিত ফতোয়া জারি করেছেন। যাতে মহিলাদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়ে, বোরখা এবং হিজাব ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া চলবে না। কোনো পুরুষের কানে যেন মহিলাদের শব্দ না আসে, সে কারণে উঁচু হিলের জুতো পরা যাবে না। উঁচু গলায় কথা বলাও যাবে না। এর সঙ্গেই বলা হয়েছিল, বাড়ির বারান্দাতেও পা রাখতে পারবেন না মহিলারা। একা বাড়ির বাইরে বেড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা। এমনকি কোনো সংবাদপত্র বা বইয়ের মহিলাদের ছবি দেওয়া চলবে না।

কাজেই, আফগানভূমে তালিবান পা রাখার পর থেকেই ভয়ে ত্রস্ত সে দেশের মহিলারা। ফের অন্ধকারে তাঁদের ভবিষ্যৎ। নারী নিরাপত্তা, সম্মান, স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে নাকি মহিলাদের আশ্বস্ত করে তালিবানরা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের শিক্ষা থেকে নিরাপত্তা- সব দিকই নিশ্চিত করা হবে। এমনকী, মহিলাদের গোটা শরীর ঢেকে রাখতে বোরখা পরারও প্রয়োজন নেই! শুধুমাত্র হিজাব পরলেই চলবে।

তবে তালিবানদের একথা মানতে নারাজ আফগানিস্তানের মহিলারা। ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়ার মর্মান্তিক পরিস্থিতির দৃশ্য সামনে এসেছে গোটা পৃথিবীর কাছে। পূর্বে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা ছিল তালিবানের হাতে। সে সময় নারী নির্যাতনের এক ভয়াবহ রূপ দেখেছিল গোটা বিশ্ব। এ বারেও ভয়ে কাঁপছে আফগানিস্তান। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানে তালিবানের আগমনের পরেই সে দেশে একলাফে অনেকখানি বেড়েছে বোরখার বিক্রি।