বিশ্বের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে চিনের, প্রথম তিনে নেই ভারত! গবেষণায় চাঞ্চল্যকর ফল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 21/03/2021   শেষ আপডেট: 21/03/2021 4:18 p.m.

"চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক" -এর মোট নম্বর ১০০ এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে চিনের প্রাপ্ত নম্বর ৮২

ভারত-চিন সম্পর্ক যে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়, সে বিষয়ে সকলেই অবগত। দুই দেশেরই বিপুল অস্ত্রসম্ভার রয়েছে এবং এসব অস্ত্রশস্ত্র বেশ আধুনিকও বটে। গত ২০ বছর ধরে দুটি দেশ শুধু নিজেরাই সমরাস্ত্র তৈরি করেনি, একই সঙ্গে অস্ত্র আমদানিও করেছে। তবে লাদাখ সংঘর্ষের পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে দুই দেশের সামরিক শক্তির হিসেব।

প্রশ্ন উঠছে তিব্বত আর শিনজিয়াং অঞ্চলে চীনের কত যুদ্ধবিমান, কত সৈন্য আর ট্যাঙ্ক আছে, তার পাশাপাশি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে কমান্ডগুলো রয়েছে, সেখানে কত সৈনিক এবং সরঞ্জাম মজুত আছে। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রকমফের তথ্য আদতেও কতটা ঠিক! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ভারত এবং চিনের আর্থিক বাজেট, নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় সামরিক কর্মীদের সংখ্যা, বায়ু-সমুদ্র-স্থল ও পারমাণবিক সংস্থান, গড় বেতন এবং সরঞ্জাম ওজন সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনার পরে অবশেষে "চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক" নামে পরীক্ষা করা হয়।

এরপরেই মাথায় হাত ভারতের। মিলিটারি প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইটের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে চিনের। এবং চতুর্থ স্থানাধিকার করেছে ভারত। "চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক" -এর মোট নম্বর ১০০ এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে চিনের প্রাপ্ত নম্বর ৮২। দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত নম্বর ৭৪, তৃতীয় স্থানে রাশিয়া ৬৯ এবং চতুর্থ স্থানে ভারত ৬১। পরিসংখ্যানের এই নম্বরগুলিকে ভিত্তি করেই মূলত প্রকাশ্যে এসেছে চিনের বিপুল সামরিক বাহিনীর কথা।

উল্লেখ্য, শুধু ভারত নয়। চিনের সঙ্গে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্কও একেবারে তলানিতে এসে থেকেছে। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এখন এক নতুন "শীতল যুদ্ধ" বলে বর্ণনা করা হচ্ছে প্রায়শই।