Bangladesh : কুমিল্লার ঘটনার মূল চক্রী ইকবাল হোসেন গ্রেফতার
বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে
অবশেষে গ্রেফতার হল বাংলাদেশের (Bangladesh) কুমিল্লায় দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ডের মূল হোতা ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত থেকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, কক্সবাজার থেকে ইকবাল হোসেনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি প্রকৃত ইকবাল হোসেন কী না তা পরীক্ষার জন্য তাকে কুমিল্লা নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি অভিযুক্তদের তল্লাশি শুরু করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
উল্লেখ্য, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাংলাদেশ পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তির পরিচয়। পরে জানা যায় অভিযুক্তের নাম ইকবাল হোসেন। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে মসজিদ থেকে কোরান এনে পুজোমণ্ডপে রাখার ঘটনা। দেখা গেছে ১৩ অক্টোবর অষ্টমীর রাতে অভিযুক্ত একটি মসজিদ থেকে কোরান বার করছেন। তারপর সেটি নিয়ে দৌড়ে এসে কুমিল্লার দীঘির পাড় পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর মণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা নিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা গেলেও হাতে কোন কোরান ছিল না। এই ঘটনার সঙ্গে এই ইকবাল হোসেনই যুক্ত, তা প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশ পুলিশ। তবে অভিযুক্ত কাদের নির্দেশে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এদিকে ধৃত এই ইকবাল হোসেনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ইকবাল হোসেন কুমিল্লার সুজানগরের বাসিন্দা। তার পিতা নূর আলম এলাকায় মাছ বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ধৃতের মা আমিনা বেগম বলেছেন, তাঁর ছেলের মানসিক সমস্যা আছে। আর সে মাদকাসক্ত। এমনকী এলাকায় 'ভবঘুরে' বলে পরিচিত। তার মানসিক সমস্যার সুযোগ নিয়ে কে বা কারা তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে তা নিয়েও পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনায় একটা সুগভীর পরিকল্পনা কাজ করেছে বলেছেন সেদেশের পুলিশ।
উল্লেখ্য, অষ্টমীর দিন কুমিল্লার বহু পুজোমণ্ডপ, প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কেবল কুমিল্লা নয়, চাঁদপুর, গাজিপুর, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রভৃতি এলাকায় এমন মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছিল। সরকারের তরফে নামানো হয়েছিল সেনা। মণ্ডপে কোরান রাখার অভিযোগে মৌলবাদী হামলায় ধ্বস্ত হয় বাংলাদেশের বহু পুজোমণ্ডপ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়। তারপর বাংলাদেশের নোয়াখালির চৌমুহনীতে একটি ইসকনের মন্দিরে প্রায় পাঁচ শতাধিক দুষ্কৃতীদের একটি দল হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, পার্থ দাস নামে একজন ইসকনের সদস্য এই দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। তাঁর দেহ মন্দিরের পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার ঘটনার মূল চক্রী ইকবাল হোসেন ধরা পড়ায় প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে বলে দাবি করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।