বাড়তি ওজনের ভয়? চিন্তা নেই, পুজোয় করুন জমিয়ে পেট-পুজো

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 30/09/2023   শেষ আপডেট: 30/09/2023 8:26 a.m.
instagram.com/kolkatadelites

পুজোর আনন্দে বাধ সাধবে না ওজন! মেনে চলুন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা

'পুজো পুজো গন্ধ নিয়ে, নতুন গানের ছন্দ নিয়ে' আনন্দে মেতে উঠেছেন বাঙালি। পুজোর এই চারদিন মানে জমিয়ে ঠাকুর দেখা এবং মজা করা। কিন্তু তার সঙ্গে কখনওই পেট-পুজোর প্রসঙ্গ বাদ দিলে চলে না। আবার এদিকে অনেকেই আছেন, যাঁরা দুশ্চিন্তা করছেন এই চারদিন কীভাবে ডায়েট অনুসরণ করা যায়! বাঙালি একেই ভোজন-রসিক! তার উপর পুজোর এই কটি দিন যদি আনন্দে ছাড় না থাকে, তাহলে ঠিক জমে না। সেই কারণেই এমন কিছু উপায় আছে, যা অনুসরণ করে আপনারা আপনাদের পছন্দ মত খাবার খেতেও পারবেন, এবং ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রিত।

ইতিবাচক মানসিকতা - প্রথমেই নিজের মনকে শান্ত করুন। সেরম হলে ধ্যান করুন। সবসময় দেখুন যাতে আপনি ইতিবাচক থাকেন। মনকে বোঝান, বছরের এই চারদিন ইচ্ছেমত খাওয়া দাওয়া করলে কোনও সমস্যা হবে না। যদি মনে দ্বিধা রেখে খাদ্য গ্রহণ করেন, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই, সবকিছুর আগে চাই একটি ইতিবাচক মানসিকতা।

জল - জলের মত বন্ধু থাকতে চিন্তা কী? তিন থেকে চার লিটার প্রতিদিন জল পান করুন। পুজোয় পরিশ্রম বেশি হয়। তাই শরীরে জলের চাহিদাও বেশি হয়। পর্যাপ্ত জল খেলে শরীরের জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এর সঙ্গে জল অতিরিক্ত মেদ গলাতেও সাহায্য করে। বাইরে বেরিয়ে ঠান্ডা পানীয়ের বদলে খেতে পারেন ডাবের জল।

লেবু জল - রোজ সকালে উঠে মৃদু উষ্ণ জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। এটি আমাদের দেহে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। সারাদিন আপনি যাই খাবেন, দ্রুত হজম হয়ে যাবে।

হালকা প্রাতঃরাশ - সারাদিন বাইরের খাবার খেলেও, প্রাতঃরাশ করুন বাড়িতেই। ওটস, বা চিজ ছাড়া স্যান্ডুইচ রাখতে পারেন তালিকায়। এবং অবশ্যই একটি করে আপেল যেন থাকে সঙ্গে।

শাকসবজি এবং দই - বাইরে খেতে গেলে তৈলাক্ত খাবার খাবেন ঠিকই, কিন্তু অল্প পরিমাণে। বেশি পরিমাণে স্যালাড এবং দই নিয়ে রাখবেন। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধাই হবে। রাতেও চেষ্টা করবেন পাতে বেশি পরিমাণে শাকসবজি বা স্যালাড রাখার।

হেঁটে ঠাকুর দেখা - পুজোর কদিন শরীর চর্চা আলাদা করে করতে লাগে না, এবং সময়ও পাওয়া যায় না। হেঁটে হেঁটে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে ঠাকুর দেখুন। ব্যাস! এমনিতেই অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগ হবে না।

মিষ্টি - মিষ্টির ক্ষেত্রে একটু নিয়ন্ত্রণ করলে ভালো হয়। মিষ্টি খাবেন, তবে চিনি ছাড়া। চিনি ছাড়া ছানার সন্দেশ খেতে পারেন। মনে রাখবেন, চিনি কিন্তু শরীরের জন্য বিষ। তাকে এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল।

[বি দ্রঃ - প্রতিবেদনটিতে উল্লিখিত উপায়গুলিই একমাত্র নয়। কোনও কিছু মেনে চলার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।]