৪ পুরনিগমের ভোটের ভবিষ্যৎ কি? সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 03/01/2022   শেষ আপডেট: 03/01/2022 11:34 a.m.
-

"কোর্টের কানমলা খেয়েও নির্বাচন ক্লিয়ার করছে না" দিলীপ ঘোষ

করোনার (Covid-19) বাড়বাড়ন্তে ৪ পুরনিগমের ভোটের (Municipality Election) ভবিষ্যৎ কী? চলতি মাসের ২২ জানুয়ারি কি নির্বাচন হচ্ছে নাকি করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যেতে পারে নির্বাচন? এই প্রশ্নটি এখন আমজনতার মুখে মুখে। তাঁদের বক্তব্য, করোনা রুখতে যদি সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় কিংবা লোকাল ট্রেন চালাতে সরকারের অনীহা থাকে, তাহলে নির্বাচন কোন যুক্তিতে? যদিও নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী সে প্রশ্ন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রবিবার তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কীভাবে ভোট করানো যায়, তা দেখবে কমিশন (Election Commission)। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে পুরভোটের ভবিষ্যৎ তাহলে কি অথৈ জলে?

সূত্রের খবর, আগামীকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ঠিক হতে পারে পুরভোটের ভবিষ্যৎ। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বৈঠকে ডেকেছে। এদিনের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে পুরভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলে সূত্রের খবর। যদিও তার আগে কমিশন আজ নবান্নের কাছ থেকে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট তলব করতে পারে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামীকাল পুরভোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন তেমনটাই খবর।

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এমন অবস্থায় পুরভোট নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে। বিজেপির অধিকাংশ নেতা কমিশনের কাছে ভোট পিছানোর দাবি তুলতে পারেন। এদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, একসঙ্গে পুরভোটের নির্বাচন হলে এই সমস্যা হত না। তিনি আরও বলেন, "একসঙ্গে ভোট হলে তো ভোট লুঠ করা যাবে না। তাই খেপে খেপে ভোট হচ্ছে। কোর্টের কানমলা খেয়েও নির্বাচন ক্লিয়ার করছে না।"

এদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই সময়ে নির্বাচনের পক্ষপাতী। ভোট পিছানোর পক্ষে সায় দেয়নি তৃণমূল এবং বাম দলগুলি। তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমান ট্রেন্ডেই নির্বাচনটা করিয়ে নিতে চাইছে, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে কলকাতা পুরভোটে বামেদের অভাবনীয় ভোটবৃদ্ধি অনেকটাই আশাবৃদ্ধি করেছে। এমন অবস্থায় এখনই নির্বাচনের পক্ষপাতী বামেরাও। যদিও সবটাই নির্ভর করছে কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর। যদিও আমজনতার স্পষ্ট দাবি, কোভিডের আশঙ্কায় স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে বিপুল জমায়েত আশঙ্কা সত্ত্বেও নির্বাচন হবে কোন যুক্তিতে? এমন অবস্থায় বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোল পুরসভার নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কি তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচারের কাজ জোরদমেই চালাচ্ছেন ঠিকই নির্বাচনের ভাগ্য নির্ভর করছে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর। আগামীকাল কমিশনের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সূত্র মারফত খবর।