SLST 2016 : ফের রিলে অনশনে বসছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/10/2021   শেষ আপডেট: 17/10/2021 1:15 p.m.
প্রতিবাদ -

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে গড়িমসি, বাধা মামলা জট

চাকরির দাবিতে আজ থেকে ফের রিলে অনশনে বসছেন ২০১৬ প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা। দিন কয়েক আগেই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সিটি সেন্টারের কাছে ধর্ণায় বসেছিলেন তাঁরা। এবার আজ থেকেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ২০১৬ সালের নবম থেকে দ্বাদশ চাকরিপ্রার্থীদের শুরু হচ্ছে রিলে অনশন।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৮০ দিনের বেশি সময় ধরে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের সামনে চলে ধর্ণা ও অনশন মঞ্চ চলেছিল। পরে রাজ্য সরকারের আশ্বাসে সেই ধর্ণা ও অনশন মঞ্চ তুলে নেওয়া হয়। যদিও তারপর রাজ্য সরকারের তরফে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে কালিঘাটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় একজন চাকরিপ্রার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরও তাঁদের সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। সরকারের আশ্বাস পেলেও ফলাফল শূন্য। তাই এবার বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল ২০১৬ এসএলএসটি ওয়েটিং লিস্ট চাকরিপ্রার্থীরা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চলবে রিলে অনশন।

অন্যদিকে মাস তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুজোর আগেই প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯ টি পদে নিয়োগের কাজ শেষ করা হবে। যদিও প্রাথমিকে নিয়োগ হলেও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ এখনও বিশ বাঁও জলে। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ জট আইনি জটিলতায় আবদ্ধ। বেনিয়মের লাগামছাড়া অভিযোগে ধ্বস্ত উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ।

উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্যানেল একবার প্রকাশিত হয়েও দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে সেই প্যানেল বন্ধ হয়ে যায় গত বছরের ডিসেম্বরে। হাইকোর্ট নতুন করে প্যানেল লিস্ট তৈরি এবং নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেয় চলতি বছরের ৩১ জুলাই। এরমধ্যেই নতুন প্যানেলের তথ্য যাচাই, ইন্টারভিউ হয়ে গেলেও নিয়োগ হয়নি। জমে আছে অভিযোগের পাহাড়। যে সকল চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউতে ডাক পাননি, তাঁদের দায়ের করা মামলায় ফের আইনি জালে জড়িয়ে পড়ে আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া। হাইকোর্টের দেওয়া সময় অতিক্রান্ত হলেও নিয়োগ না হওয়ার ক্ষোভ বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। কমিশনের তরফে খবর, দ্রুত শুনানির চেষ্টা চলছে। তবে অভিযোগের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় দেরি হচ্ছে।