পার্থ-কাণ্ডে কালো টাকার উৎস কী? কেন্দ্রের কাছে কড়া জবাব চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 29/07/2022   শেষ আপডেট: 29/07/2022 9:20 a.m.
facebook.com/AbhishekBanerjeeOfficial/

কালো টাকার উৎস নিয়ে কেন্দ্র সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

গত কয়েক দিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস কী জানতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার অত্যন্ত 'কড়া' ভাষায় কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইলেন তিনি। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের কালো টাকা উদ্ধারের প্রকল্পকে নিশানা করলেন।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ৫০ দিন সময় দিলে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, "৫০ দিন সময় দিন। পরে দেশে কালো টাকা পাওয়া গেলে আমাকে যে শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব।" তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই কালো টাকার উৎস কী? কেন্দ্র সরকারকে এর জবাব দিতে হবে বলে রীতিমতো তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, পার্থ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তাঁকে দল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এমনকী যতদিন ঘটনার তদন্ত চলবে, ততদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো কড়া ভাষায় কেন্দ্রের কালো টাকা উদ্ধারের বিষয়টিকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের তৎপরতায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশন-সহ অন্যান্য নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। গত কয়েক দিন ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্ব থেকে শুরু করে যাবতীয় ক্ষমতা অপসারণের চাপ বাড়ছিল বিরোধীদের তরফে। এমনকী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বাড়ছিল তীব্র চাপানউতোর। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সব ধরণের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আর তারপরেই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর কেন্দ্রের উপর যে চাপ তৈরি হল বলছেন রাজনৈতিক মহল।