শহরের বুকে ফ্রি বাস পরিষেবা, স্লট বুকিং করে দূরত্ববিধি মেনে এই উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 05/07/2021   শেষ আপডেট: 05/07/2021 9:35 a.m.
- https://pixabay.com/images/search/bus/

কোভিড অতিমারি কালে এক অভিনব উদ্যোগ

কোভিড অতিমারির (Covid-19) কালে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিংবা কত মানুষ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। চালু হয়েছে ফ্রি ক্যান্টিন পরিষেবা, কোভিড আক্রান্ত বাড়িতে খাবার, ওষুধ, প্রয়োজনীয় নিত্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এবার কলকাতার বুকে চালু হল স্লট বুক করে নিখরচায় বাস পরিষেবা (Bus service)। প্রাথমিক পর্যায়ে এই বাসের সংখ্যা কম হলেও শুরুতেই অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে উদ্যোক্তারা।

বাসে ওঠার ঘণ্টাখানেক আগে নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে দূরত্ববিধি মেনে স্লট বুকিং করতে হচ্ছে। তারপর বাসের লাইভ লোকেশন দেখে যাত্রীরা বাসে উঠছেন এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন। শহরের তিনটি রুটে ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। সূত্রের খবর, আপাতত হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, চিড়িয়ামোড় থেকে হাওড়া ময়দান এবং সেক্টর ফাইভ থেকে গড়িয়া, এই তিন রুটে সকাল-সন্ধ্যায় একটি করে ওই বাস চলছে।

হাওড়া ময়দান থেকে একটি বাস সকাল ৮ টা নাগাদ ছাড়ছে। এক ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৯ টায় এই বাস পৌঁছে যাচ্ছে সেক্টর ফাইভে। আবার একই বাস বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ সেক্টর ফাইভ থেকে ছাড়ছে। এই বাসে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ৮৪৮২০৮৮৩২৯ নম্বরে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করতে হচ্ছে। আবার চিড়িয়ামোড় থেকে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিটে একটি বাস ছাড়ছে। তা পৌঁছচ্ছে হাওড়া ময়দানে। একই বাস হাওড়া ময়দান থেকে চিড়িয়ামোড়ের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৬ টায় ছাড়ছে। এই বাসে স্লট বুকিংয়ের জন্য ৮৭৭৭৮২৮২৪২ নম্বর রেখেছে উদ্যোক্তারা। আর তৃতীয় বাসটি সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড় থেকে সকাল ১০ টায় ছাড়ছে গড়িয়ার উদ্দেশ্যে। গড়িয়া থেকে দুপুর ২ টো নাগাদ ফের সেক্টর ফাইভের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে এই বাস। এই বাসে স্লট বুকিংয়ের জন্য উদ্যোক্তারা ৭০০৩৩৫২২০৭ নম্বরটি রেখেছে।

এই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে বাসের মধ্যে রাখা হয়েছে একটি দানবাক্স। কোন যাত্রী চাইলে ওই বাক্সে নিজেদের পছন্দ মতো দান করতে পারেন। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ওই দানবাক্স থেকে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাস চালানোর খরচ উঠে আসছে। বাকিটা নিজেদের উদ্যোগে জোগাড় করছেন তাঁরা। শহরের বুকে এই অভিনব ব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি শহরবাসী।