সাংবাদিক বৈঠকে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন নিয়ে সরব ফিরহাদ হাকিম

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 26/06/2021   শেষ আপডেট: 26/06/2021 6:52 p.m.
Facebook@firhadhakim

প্রতারিতদের পাশে দাঁড়ালেন ফিরহাদ, ফের তাঁদের টিকা দেওয়ার আশ্বাস!

কসবায় ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। গেরুয়া শিবির যখন ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে শাসকদলকে দোষারোপ করছেন, সে সময় অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে শনিবার ফিরহাদ হাকিম জানান, রবীন্দ্র ফলকের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, "কারা ওই ফলক লাগিয়েছিল আমি জানি না। এই অনুষ্ঠানে আমরা যাইনি। আর কিসের কেলেঙ্কারি বলা হচ্ছে? ফলক কি আমাকে জিজ্ঞাসা করে লাগিয়েছিল? নাম থাকলেই কি বড় কেলেঙ্কারি? নরেন্দ্র মোদী ও নীরব মোদীর এক সঙ্গে ছবি আছে। তাঁদের বৈঠকের ছবি রয়েছে। এটার কে তদন্ত করবে?"

এর পাশাপাশি শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভুয়ো ভ্যাকসিন ইস্যুতে জড়িত সকল ব্যক্তিদের ওপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়ে প্রতারিতদের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি করজোড়ে তাঁর প্রার্থনা, "কলকাতাবাসী যেন সরকার অনুমোদিত কোনও ক্যাম্প কিংবা হাসপাতাল থেকেই টিকা নেন, যে কোনও ক্যাম্পে গিয়ে ভ্যাকসিন না নেওয়ার কথা বলেন। টিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে পুরসভাও তদন্ত করছে। পুরসভার কেউ এই কাজে যুক্ত থাকলে, তাঁর কঠোর শাস্তি হবে।"

তিনি আরও বলেন, "বাড়ির কাছেই কোনও শিবির হতে দেখলে সেখানেই ভ্যাকসিন নিতে ছুটে যাবেন না। একটু কষ্ট করে হাসপাতাল কিংবা পুরসভায় চলে আসুন, নিরাপদে ভ্যাকসিন নিন।” ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। দেবাঞ্জনের পাশাপাশি এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা তথা সিএবির সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ছবিতে রয়েছেন ভুয়ো ভ্যাকসিনম্যান দেবাঞ্জন দেব। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে আগে থেকেই কোনরকম পরিচয় ছিল অভিযুক্তের? যদিও এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানিয়ে দেন, "ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে তারা চেনেন না। কোনদিনও পরিচয় হয়নি। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রয়োজন ছিল। সেই সময় সিএবির পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করে আইএমএ। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের হাত থেকে আমরা সেই সামগ্রী গ্রহণ করি। সেই সময় যারা আইএমএর পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তাদের মধ্যে এই দেবাঞ্জন ছিলেন। ৩-৪ জন লোক একসঙ্গে ছিল। সেই সময় একটি ছবিতে দেবাঞ্জন ঢুকে পড়েন। অভিযুক্তের সঙ্গে সিএবির কোন রকম সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই।"