অক্সিজেন না পেয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু প্রবীণের, অমানবিক ঘটনা কলকাতায়

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 30/04/2021   শেষ আপডেট: 30/04/2021 3:25 p.m.

গতকাল মৃত্যুর পর আজ এখনও অব্দি দেহের সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়নি

করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে জেরবার গোটা ভারত। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ ৩ লাখ ৮০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। এত পরিমান সংক্রমণ হওয়ায় রীতিমতো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত নড়ে গেছে। গোটা ভারতের মতো বেহাল অবস্থা বাংলার। বাংলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে কলকাতা শহরে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে করোনা মৃত্যুতে অমানবিক আচরণ ধরা পড়লো এই শহরে। জানা গিয়েছে অক্সিজেনের অভাবে এদিক থেকে ওদিক ঘুরে ঘুরে মাঝপথে অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হয় বাগুইহাটি রঘুনাথপুরের এক বাসিন্দার। কিন্তু তারপর অ্যাম্বুলেন্স চালক বাড়ির সামনে দেহ নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয়। ফলে কোন চিকিৎসক তাকে ডেট সার্টিফিকেট দিতে রাজি হয় না। ফলে মৃত্যুর অনেকক্ষণ পরেও তার দেহের সৎকারের কোন ব্যবস্থা হয়নি। এমনকি তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় খুবই সংকটে পড়ে ছিল তারা। অবশেষে আজ সকালে বাগুইহাটি পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে রঘুনাথপুরের প্রবীণ বাসিন্দা এবং তার স্ত্রীয়ের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের একমাত্র পুত্র পুনেতে কর্মসূত্রে থাকে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুরে হঠাৎ ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বেশি টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে স্বামীকে হাসপাতাল পাঠানোর চেষ্টা করে একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও অক্সিজেন পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার বাড়ির কাছে দেহ নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। মাঝপথে মৃত্যু হওয়ায় কোন চিকিৎসক তাকে ডেট সার্টিফিকেট দিতে চাইনি। গতকাল থেকে আজ সকাল অব্দি দেহ সৎকারের ব্যবস্থা না হলে স্থানীয় লোকেরা বাগুইআটি থানার শরণাপন্ন হন। পুলিশ জানিয়েছে চিকিৎসকদের সার্টিফিকেট দিলে তারা দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করবে। পুলিশ প্রশাসন বা প্রতিবেশী কারুর থেকে সাহায্য না পেয়ে স্বামীহারা করোনা আক্রান্ত স্ত্রী এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।