"গরিব দেশে মাত্র ২ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে", বুস্টার ডোজ অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য WHO এর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/08/2021   শেষ আপডেট: 19/08/2021 2:09 p.m.
twitter.com/doctorsoumya

WHO প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন

গত বছরের মার্চ মাস থেকে ভারতের বুকে আছড়ে পড়েছে করোনা (Corona) সংক্রমণের ঢেউ। ভারত তথা গোটা বিশ্বে সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশংকা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ (Corona Vaccination)। অনেক দেশে টিকাকরন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে করোনার বিভিন্ন প্রজাতির উপস্থিতি লক্ষ্য করে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ব্রিটেন সরকার। দুটি ডোজের পরেও যদি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার অ্যান্টিবডি তৈরি না হয়, সেই ক্ষেত্রে এই বুস্টার ডোজ কার্যকরী হবে। তবে এবার এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। তিনি দাবি করেছেন, "এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজের ওপর ভরসা করা যাচ্ছে না।"

কিছুদিন আগে এক নিউজ কনফারেন্সে WHO এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছিলেন, "বুস্টার শটের ওপর ভরসা করা উচিত নয়। কারণ এখনও অবধি আমাদের কাছে সেরকম কোনো তথ্য-প্রমাণ আসেনি। দুটি আলাদা সংস্থার টিকা নেওয়ার পর যেমন রোগ প্রতিরোধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও সম্ভাবনা থাকে।" এছাড়া সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলিতে সকলে ভ্যাকসিন পেয়ে গেলেও গরিব দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এই সময় বুস্টার ডোজ না দিয়ে গরিব দেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত। যেখানে বিশ্বের বহু মানুষ এখনও টিকা পাননি, সেখানে বুস্টার ডোজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময় এখনও আসেনি। WHO এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ১০ টি দেশে ৭৫ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে অপেক্ষাকৃত গরিবদেশগুলিতে মাত্র ২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন। এই টিকাকরণ বৈষম্য অবশ্যই মানবিকতার জন্য লজ্জাজনক।