ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর নতুন আতঙ্ক হোয়াইট ফাঙ্গাস, বেশি সংক্রমিত হতে পারে শিশু ও মহিলাদের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 21/05/2021   শেষ আপডেট: 21/05/2021 7:11 p.m.

দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত ১৯৭ জন

করোনা (Corona) সংক্রমণের ভয়াবহতার মাঝেই দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) রোগ। এবার তার দোসর হিসেবে শোনা যাচ্ছে হোয়াইট ফাঙ্গাস (White Fungus) রোগের কথা। গতকালই কেন্দ্র সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগকে মহামারী ঘোষণা করেছিল। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হরিয়ানা এবং আসামে এই রোগ দেখা যাচ্ছে। তবে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার যুদ্ধ পরিকল্পনা বানানোর আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগ। এই রোগ সম্প্রতি বিহার (Bihar) এবং পাটনাতে (Patna) পাওয়া গেছে। বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন যে এই রোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থেকেও বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এই রোগটি অনেকটা করোনার মত। মানুষের শরীরের ফুসফুসে প্রথম আঘাত হলেও পরে তা কিডনি, পরিপাকতন্ত্র ও গোপন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ হাই রেসোলিউশন সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ধরা পড়ে। মূলত এই রোগটি তাদের হয়ে যারা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক (Steroid) ওষুধ সেবন করেন এবং যাদের শরীরে অনাক্রম্যতা অনেকটাই কম।

তবে এরমধ্যে একটি উদ্বেগজনক তথ্য গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগ শিশু এবং মহিলাদের বেশী ক্ষতি করবে যদি তারা আক্রান্ত হয়। সদ্যোজাত শিশুর এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়া যারা করোনা আক্রান্ত এবং অক্সিজেন সাপোর্ট চলছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়া ক্যান্সার রোগীদের কাছ থেকে এই ছত্রাককে দূরে রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে ৪ জনের মধ্যে হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগ দেখা গিয়েছে। তাদের প্রথমে করোনা পরীক্ষা করা হলেও সংক্রমণ না ধরা পড়লে জানা যায় তারা হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত। কিছুদিন অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ খেয়ে তারা আপাতত সুস্থ আছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার পাশাপাশি গোটা দেশে প্রভাব বিস্তার করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ। এই রোগের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রর জৈন জানিয়েছেন যে এখনও অব্দি দিল্লিতে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১৯৭ জন মানুষ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। তাদের সবাইকে যতটা কম সম্ভব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই রোগ মূলত দুটি কারণে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে যাদের শরীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেশি তাদের হচ্ছে বা যাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার জন্য অনাক্রম্যতা কম, তাদের হচ্ছে।