ফের রাজধানী দিল্লির বুকে নৃশংস ঘটনা। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক বছর ৩৬-র ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পেশায় সেই ব্যক্তি কসাই। প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার মুখ বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি সেন্ট্রাল দিল্লির যমুনা খাদার এলাকার। ধৃত ব্যক্তির নাম রিজওয়ান ওরফে বাদশা। আদতে বিহারের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে বছর কুড়ি আগে দিল্লীতে আসে। দিল্লির তুর্কমান এলাকায় কসাইয়ের কাজ করত। সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকত বলে সূত্রের খবর। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছুরি।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? ঘটনাটি চলতি মাসের ৪-৫ তারিখ নাগাদ ঘটে। দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকার এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, আচমকাই রাতে তাঁর পরিবারের এক মেয়ে উধাও হয়ে যায়। রাতে সকলে একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ দেখা যায় তাঁর বছর আটেকের এক কন্যা নিখোঁজ। তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান মেলেনি। অবশেষে ১৮ অগাস্ট দেহ উদ্ধার হয়। অনেকটা দূরে একটি জঙ্গলে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও দেহ থেকে বোঝার কোন উপায় ছিল না। পরে ময়নাতদন্তের পর জানা যায় ধর্ষণের পর তাকে খুন করা হয়েছে। তথ্য লোপাটের জন্য মুখ বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও প্রথমে কোন তথ্য মেলেনি। তদন্তে জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই নাবালিকার সঙ্গে নাকি আগে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিল। তদন্তে আরও খবর, নাবালিকার মায়ের সঙ্গে নাকি নাবালিকার সম্পর্ক ছিল। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।