স্কুল পাঠক্রমে এবার আসছে যোগ এবং আয়ুর্বেদ, নয়া ভাবনা কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 19/12/2021   শেষ আপডেট: 19/12/2021 1:32 a.m.
যোগাভ্যাস

কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি বিশেষজ্ঞরা

যোগ এবং আয়ুর্বেদ, ভারতের সবথেকে পুরনো দুটি রীতি হলো এগুলি। এতদিন পর্যন্ত যোগাভ্যাস এবং আয়ুর্বেদ চর্চা শুধুমাত্র বাড়িতে কিংবা শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার মধ্যেই সীমিত ছিল। কিন্তু এবারে এই দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাঠক্রমের মধ্যেই। জানা যাচ্ছে কেজি স্কুল থেকেই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে যোগাভ্যাস এবং আয়ুর্বেদ। ইতিমধ্যেই দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেকটি ক্লাসের জন্য আবশিক পার্ট হিসেবে যোগ এবং আয়ুর্বেদকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই কেজি থেকে একেবারে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাস তৈরি করার সমস্ত পরিকল্পনা শেষ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই সরাসরি স্কুলের সিলেবাসে ঢুকে পড়বে যোগ এবং আয়ুর্বেদ, যা নতুন শিক্ষানীতির অন্যতম রূপ হয়ে উঠবে। স্বদেশী বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে সিলেবাসে জায়গা দেওয়ার জন্য স্টিয়ারিং কমিটি একটি টাস্কফোর্স গঠন করে নতুন সিলেবাস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ জয়পুরের ডিরেক্টর ডক্টর সঞ্জীব শর্মা কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "দু-তিন মাস আগে খসড়া তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আয়ুর্বেদের বিষয়টি দেখেছি। মোরারজি দেশাই ইনস্টিটিউট অফ যোগা অন্য বিষয়টির উপরে খসড়া তৈরি করেছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন প্রকল্প নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।'

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে ডাক্তার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলছেন, "আয়ুর্বেদ এবং যোগ ভারতীয় সংস্কৃতির একেবারে পুরনো এবং অত্যন্ত অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছোট থেকেই এই সংস্কারের সঞ্চার করা যায় তাহলে স্বদেশী বিজ্ঞান চর্চার প্রতি তাদের আগ্রহ আরো বাড়বে। যা ভারতের যুব সমাজের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হতে চলেছে।" নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল স্তরে আয়ুর্বেদ এবং যোগা বাধ্যতামূলক হিসেবে উল্লেখ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সকল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য আলাদা আলাদা করে সিলেবাস তৈরি করেছে আয়ুষ মন্ত্রক। বাকি কাজটা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের দায়িত্বে হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।