বাংলা ভাষায় পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষানীতি নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মোদীর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 29/07/2021   শেষ আপডেট: 29/07/2021 7:09 p.m.
- twitter

এদিন প্রধানমন্ত্রী 'অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট'-এর কথা ঘোষণা করেন, জানুন সবিস্তারে

এদিন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একাধিক ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi, PM)। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় কোটার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রথা চালু করেন। এরপরেই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ ঘোষনা। এদিন তিনি সাফ বলেন, ২০২০ সালে যে জাতীয় শিক্ষানীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, তা ভবিষ্যতে পথ দেখাবে। দেশের আটটি রাজ্যের ১৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পাঁচ আঞ্চলিক ভাষায় পড়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, এই পাঁচ আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা। অর্থাৎ এরপর থেকে বাংলাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে।

এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা শুরু হলে দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সবচেয়ে সুবিধা হবে। কারণ, তাঁদের জীবনে ভাষা সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়াত। আঞ্চলিক ভাষায় কারিগরি শিক্ষা চালু হলে তাঁরা আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে।" এখানেই শেষ নয়, এদিন প্রধানমন্ত্রী 'অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট'-এর কথা ঘোষণা করেন। কী এই অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিট? এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অনেকেই একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর ভাবেন, তিনি বোধহয় ভুল করে ফেলেছেন। কিন্তু এ বার থেকে তা আর হবে না। কোর্সের মধ্যে যদি মনে হয় কোর্সটি ঠিক নয়, তা হলে সেটি বদলাতে পারবেন পড়ুয়া।" এর ফলে যে কোনও পড়ুয়া যে কোনও কোর্স থেকে যখন খুশি বেরিয়ে যেতে পারবেন, আবার অন্য কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। যেখানে তিনি পড়া ছেড়ে এসেছিলেন, ফের সেখানেই ভর্তি হতে পারবেন যে কোনও সময়।

এরপরেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, 'প্লে-স্কুল' নিয়ে। এর ফলে কী হবে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এতদিন বড় বড় শহরের শিশুরাই শুধু প্লে স্কুলে পড়েছে। কিন্ত সরকারের 'বিদ্যা প্রবেশ' প্রকল্প চালু হলে এই সুযোগ পৌঁছে যাবে গ্রামে গ্রামে। এটি তিন মাসের একটি স্কুল পূর্ববর্তী কোর্স, যা প্লে স্কুলের মতো শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করবে। গ্রামে গ্রামে 'বিদ্যা প্রবেশ' নামে এই প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হবে।" অর্থাৎ এর ফলে সুবিধাভোগী হবেন দরিদ্র পরিবারের শিশুরা।