মমতার মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ, অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নতুনদেরও জায়গা

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 10/05/2021   শেষ আপডেট: 10/05/2021 3:26 p.m.
facebook.com/MamataBanerjeeOfficial

মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্যের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী

রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছে তৃণমূল। আজ রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে ৪৩ জন মন্ত্রী পদে শপথ নেন, যদিও এই প্রথম ৩ জন কোভিড আবহে ভার্চুয়ালি শপথ নিয়েছেন। মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্যের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ৯ জন মহিলা এবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ৭ জন সংখ্যালঘু বিধায়কও এবার মন্ত্রী হয়েছেন। ক্ষমতায় ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের এখন প্রথম কাজ কোভিড মোকাবিলা। আজকে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "রাজ্যে কোভিড পরিকাঠামো তৈরি করতে গেলে যেন জিএসটি না নেওয়া হয়। দেশের ৬৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বাইরে গেলে অন্য দেশ থেকে আনাতে হবে। কোথা থেকে ভ্যাকসিন আনানো হবে, তা কেন্দ্র ঠিক করুক।" লকডাউন সম্পর্কে তিনি বলেন, "একদম লকডাউন না করে লকডাউনের মতো কড়া বিধি দরকার।"

এবার দেখে নেওয়া যাক কারা কোন বিভাগের কী কী দায়িত্ব পেলেন -

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও নিজের দায়িত্বে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, স্বাস্থ্য, তথ্য-সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, উদ্বাস্তু উন্নয়ন দপ্তর। গতবারের মতো সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর নিজের হাতে রাখেন নি, বরং এবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নিজের হাতে রেখেছেন। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে খারাপ ফলের পর এবারের নির্বাচনে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নিজের দায়িত্বে রেখেছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

এবারের মন্ত্রিসভা গঠনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে শিক্ষা দপ্তরে। স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাত্য বসু। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবার পেয়েছেন শিল্প, বানিজ্য তথ্যপ্রযুক্তি ও সংসদ পরিষদীয় দপ্তর। অমিত মিত্র পেলেন অর্থ, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান বিষয়ক দপ্তর। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং শিল্প পুনর্গঠন মন্ত্রী হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

এবার খাদ্য দপ্তরে বড় বদল আনা হয়েছে। খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তর পেয়েছেন রথীন ঘোষ। আর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পূর্বের খাদ্যমন্ত্রী তিনি পেয়েছেন বন ও অচিরাচরিত শক্তি দপ্তর। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর পেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর ফিরহাদ হাকিম পেয়েছেন পরিবহন ও আবাসন দপ্তর। ক্রেতা সুরক্ষা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্ব পেলেন সাধন পান্ডে, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী হলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

এবারের মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছে। এঁদের মধ্যে মৎস্য দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন অখিল গিরি। প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর পেলেন কারিগরি শিক্ষা দপ্তর, রত্না দে নাগকে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ দপ্তর, শিউলি সাহা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, বীরবাহা হাঁসদা বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, মনোজ তিওয়ারি যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।