পড়ুয়াদের ঘাটতি মেটাতে 'সেতু পাঠক্রম'-এর ভাবনা শিক্ষা দফতরের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/12/2021   শেষ আপডেট: 08/12/2021 11:39 a.m.

পাঠক্রমে করোনা, নতুন শিক্ষাবর্ষে নয়া ভাবনা শিক্ষা দফতরের

করোনাকালে (Covid-19) কেটেছে ছন্দ, লয়। স্বাভাবিক নিয়মে এক ক্লাস থেকে আর এক ক্লাসে ওঠার যে মাপকাঠি তাতেও তৈরি হয়েছে ঘাটতি। ঘরবন্দি পড়ুয়াদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে গিয়ে স্কুলের পরিবেশ কতটা আত্মস্থ করতে পারছে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রে যে অপূরণীয় ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তার বিকাশসাধনে সব ধরণের চেষ্টা করা উচিত। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সেই ঘাটতি পূরণে ১০০ দিনের অফলাইন (Offline) ব্রিজ কোর্স চালু করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। যে কোর্সের প্রধান উদ্দেশ্য, ঘাটতি পড়া বিভিন্ন ক্লাসের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। অর্থাৎ নতুন শ্রেণিতে পূর্বের শ্রেণির মধ্যে সংযোগসাধন।

বিষয়টি ঠিক কী? করোনাকালে দীর্ঘদিন অফলাইন ক্লাস (Online Class) বন্ধ। সরকারি মাধ্যমের অনলাইন ক্লাসও নৈব নৈব চ। অ্যাক্টিভিটি টাস্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মেধা অন্বেষণ এককথায় অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া। সঙ্গে এই গত দেড় বছরে স্কুলে না গিয়ে পড়ুয়াদের মানসিক সংস্থিতি আমূল বদলে গেছে। এমন অবস্থায় হঠাৎ-ই স্কুলের ক্লাসরুম অনেকটা বদ্ধ খাঁচার মতো। পাশাপাশি এক ক্লাস টপকে আর এক ক্লাসে যাওয়ার মাপকাঠি গত দেড় বছরে কতটা মান্যতা পেয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন আছে। তাই করোনাকালের অনলাইন ক্লাস এবং বর্তমান সময়ের অফলাইন ক্লাসের মধ্যে এক ধরণের সেতুবন্ধন জরুরি। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এমন কোর্স চালুর কথা বলা হয়েছে।

এই সেতু পাঠক্রমের মাপকাঠি কেমন হবে? সূত্রে খবর, করোনাকালে শহরাঞ্চলে অনলাইন ক্লাস হলেও গ্রামাঞ্চলে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্রাত্য থেকেছে। সেই সকল পড়ুয়াদের ঘাটতি মেটাতে এই কোর্স যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে বলছেন একাংশ। ১০০ দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে এই সেতু পাঠক্রম। জানুয়ারিতে নতুন সেশন শুরু হলে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি এই ব্রিজ কোর্সের বইও পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে সামনের বর্ষ থেকেই করোনাও পাঠক্রমে ঢুকতে চলেছে। সিলেবাস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ষষ্ঠ, অষ্টম এবং একাদশ শ্রেণির পাঠক্রমে করোনা ঢুকছে।

এই ব্রিজ কোর্সের সময় মিলবে তো? এমন প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। যদিও নতুন বর্ষে মূল পাঠক্রমের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে এই সেতু পাঠক্রম পড়াতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। এই কোর্স পড়ুয়াদের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম হবে বলছেন শিক্ষা দফতরের একাংশ।