তারকেশ্বরে শ্রাবণ মাস উপলক্ষে জারি কঠোর বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/07/2021   শেষ আপডেট: 27/07/2021 7:05 a.m.
By Sankha Karfa - Own work, CC BY-SA 3.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=12666548

প্রত্যেক ভক্ত-পুন্যার্থীদের মাথায় রীতিমত ‘থার্মাল গান’ ঠেকিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যাবস্থা করা হয়েছে

প্রতি বছরই শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে লক্ষ লক্ষ পুন্যারথি সমাগম হয়। মহাদেবের জন্মমাস উদযাপন করে বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য বহু মানুষই এসে পৌঁছান তারকেশ্বরের এই পুণ্যধামে। কিন্তু গত বছর থেকে চিত্রটা অনেকটাই আলাদা। করোনা মহামারীর চোখরাঙ্গানিতে দু বছর ধরে তারকেশ্বরে পাল্টেছে অনেক নিয়ম কানুন। লাগু হয়েছে অনেক বিধিনিষেধ। এবারও মন্দির প্রাঙ্গনে পুন্যার্থীদের প্রবেশে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করল স্থানীয় পৌরসভা।

তারকেশ্বর পৌরসভার উদ্যোগে এবার মন্দির চত্বরে প্রবেশের আগে প্রত্যেক ভক্ত-পুন্যার্থীদের মাথায় রীতিমত ‘থার্মাল গান’ ঠেকিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বেগতিক দেখলেই র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে। টেস্ট করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই মন্দির প্রাঙ্গনে ঢোকার অনুমতি মিলছে ভক্তবৃন্দের। পাশাপাশি ভিড় এড়ানোর জন্য মন্দিরের মোট ছটির(১,২,৪) তিনটি গেট দিয়ে ২০০ জন করেই পুন্যার্থী প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাঁদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্যও দুটি গেটের(৫,৬) ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সাথে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মন্দির চত্বর ও তার আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে পৌরসভা ও মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে।

একইসঙ্গে নিরাপত্তা এবং করোনার বিধিনিষেধ সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, মন্দির চত্বরে উপস্থিত থেকে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। অতিরিক্ত মানুষ যাতে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘোরাফেরা করতে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সকলে যাতে মাস্ক পরে মন্দিরে প্রবেশ করেন সে দিকেও খেয়াল রাখছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই শ্রাবণী মেলা উপলক্ষ্যে বাঁকে করে মন্দিরে জল আনা(কাঁওয়া) নিষিদ্ধ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

যদিও বিধিনিষেধ সত্ত্বেও গত সপ্তাহে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জল ঢালার লাইনে দাঁড়ান পুন্যার্থীরা। যা নিয়ে কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখে প্রশাসন। সেই জন্যই বিধিনিষেধে এত কড়াকড়ি বলে জানাচ্ছে তারকেশ্বর পৌরসভা। তবে এই অতিমারির দিনেও এত সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা দেখে জারাপনাই খুশি সাধারন মানুষ। তাঁরা দু হাত তুলে প্রসাশনের এই ভুমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।