"দম থাকলে বাড়িতে বসে থাকুন, পাড়ায় পাড়ায় মন্ত্রীদের ঘোরাচ্ছেন কেন" প্রচারে ঝাঁঝালো মন্তব্য দিলীপের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 12/09/2021   শেষ আপডেট: 12/09/2021 12:59 p.m.
-

ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে শাসক বিরোধী বাকযুদ্ধ

উপনির্বাচনের (By Polls) দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বাক্য-বিনিময় ততই ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে। হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্রকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে। শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির বাকযুদ্ধ। রবিবারের প্রচারে নেমে তাই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) জানালেন, আমরা জেতার জন্য লড়ছি। অথচ দিন ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের দাবি, ভবানীপুর (Bhawanipur) সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে। ঘরের মেয়েকে দু'হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন ভবানীপুরের মানুষ। এই কথার প্রেক্ষিতেই দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, "দম থাকলে বাড়িতে বসে থাকুন। পাড়ায় পাড়ায় মন্ত্রীদের ঘোরাচ্ছেন কেন? নন্দীগ্রামের ফল মানুষ দেখেছে।"

উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই শাসক বিরোধীদের মধ্যে জমি দখলের লড়াই শুরু হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নাম ঘোষণার পর পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কটাক্ষ করেছিলেন, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বাচ্চা মেয়ে। একবার হেরেছেন, আবার হারবেন। এই কথার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের স্বভাবোচিত উত্তর, বাচ্চা সবদিন বাচ্চা থাকে না। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে তৃণমূল বিজেপির তরজা ততই দেখছে বাংলার মানুষ।

অন্যদিকে, রবিবারের সকালেই ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভিক্টোরিয়ার সামনে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। খেলেন আখের রস। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন মজার ছলে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানালেন, "আমি বড় নেতা নই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার লক্ষ্য। তাঁদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তাঁদের কথা শুনছি।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এমন হেভিওয়েট নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য, "ওঁর ওয়েট আছে, তাই তিনি হেভিওয়েট।" এখানেই শেষ নয়, আত্মবিশ্বাসী চোখে বিজেপি প্রার্থীর জবাব, "জয় নিয়ে আমি আশাবাদী। আমি কে ধীরে ধীরে তা চিনে যাবেন।" সূত্রের খবর, ভবানীপুরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ধরে ধরে বিজেপির আলাদা কৌশল তৈরি হচ্ছে। গত নির্বাচনে যে ৬ টি ওয়ার্ডে বিজেপি পিছিয়ে ছিল, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নন, বরং রাজ্য নেতৃত্বদের দিয়েই উপনির্বাচনের কাজ সারতে চাইছেন বিজেপি।