অভিভাবক বিজেপি করে, তাই কন্যাশ্রী বাতিল হতে বসেছে ৫ ছাত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 21/06/2021   শেষ আপডেট: 22/06/2021 7:48 a.m.
তৃণমূল-বিজেপি

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ ছাত্রীরা

অভিভাবক বিজেপি করেন, এই কারণে বর্ধমানের আমারুন গ্রামের ৫ ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন করার প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিতে চাইছেন না তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।  সোমবার ভাতারের আমারুন গ্রামের মৌসুমী মালিক, সুচিত্রা দাস, ঋত্বিকা সরকার, এবং কুসুম সরকার নামে চার ছাত্রী এবং পল্লবী ঘোষ নামক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মা অতসী ঘোষ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের সকলের অভিযোগ বাড়িতে বিজেপি কর্মী থাকায় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিতে চাইছেন না তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই ৫ ছাত্রী আমারুন স্টেশন শিক্ষা নিকেতনে পড়ে। ওই ছাত্রীদের স্কুল থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদানের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় দুটি শংসাপত্রের প্রয়োজন হয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জারি করা। পারিবারিক আয় এর শংসাপত্র এবং আবেদনকারী যে অবিবাহিতা তার প্রমানপত্র প্রয়োজন হয় কন্যাশ্রী প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য।

কিন্তু ছাত্রীদের মধ্যে মৌসুমী মালিক বলেন, "বাড়ির লোকজন বিজেপি করায় আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা ওই দুই শংসাপত্রের জন্য প্রধানের বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত অফিস বারংবার গেছি। কিন্তু প্রধান সাহেব আমাদের শংসাপত্র দিচ্ছে না। আমরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি।" অন্যদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমারুন ১ এর পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভট্টাচার্য্য বলেছেন, "ওই ছাত্রীদের বাড়ির লোকজন বলেছে তাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সরকারি অনুদানের কোনো প্রয়োজন নেই। তবুও ওই ছাত্রীদের বাবাদের বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত অফিসে দেখা করতে। অভিভাবক ছাড়া নাবালিকা ছাত্রীদের অবিবাহিতা এবং পারিবারিক আয় এর মত গুরুত্বপূর্ণ শংসাপত্র দেওয়া যায়না। তারা কেউ আসেননি। তাই এখনো পর্যন্ত তাদেরকে শংসাপত্র দেওয়া যায়নি। যদি ওই ছাত্রীদের অভিভাবকরা পঞ্চায়েত অফিসে এসে দেখা করেন তাহলেই তাদেরকে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হবে।"