"আরেকবার '২০১৮' হলে আরেকটা '২০১৯' কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.." ফেসবুকে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট দেবাংশুর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/02/2022   শেষ আপডেট: 11/02/2022 9:12 a.m.
facebook.com/510483432617087/

পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, কিন্তু কারণ কী?

পুরভোট নির্বাচনে (Municipality Election) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনটি পুরসভা শাসকদলের দখলে চলে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দিনহাটা, বজবজ এবং সাঁইথিয়া পুরসভা শাসকদলের দখলে চলে এসেছে। শাসকদলের একচ্ছত্র গা-জোয়ারি মনোভাবের কথাই বলছেন বিরোধীরা। আর ফেসবুকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) দিলেন বিস্ফোরক বার্তা। সতর্ক করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের। ব্যক্তিগত স্বার্থের আগে যে দলের স্বার্থ, তাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই যুব নেতা।

গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, "আরেকবার '২০১৮' হলে আরেকটা '২০১৯' কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.. বারবার সবটা '২০২১'-এর মতন হবে না।" এই পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যেখানে একটা বড় অংশের পঞ্চায়েতে কোন নির্বাচনই হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পর শাসকদলের 'উল্লাস' সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলস্বরূপ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল দলের অন্দরে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। আর সেই কথাই যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।

চলতি পুরসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই তিনটি পুরসভার 'রাজনৈতিক ভাগ্য' নির্ধারিত হয়েছে নির্বাচনের আগেই। কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। যা নিয়ে সতর্ক করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, "ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। তাই লোকাল বডির ভোট গুলোতে অশান্তি বেশি হয়। পুলিশকে ১০০% 'ফ্রি হ্যান্ড' দিতে হবে। প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক..."

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেবাংশু ভট্টাচার্যের এই তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট ইতিমধ্যেই সাড়া তৈরি করেছে। শাসকদলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এমনকী প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের বেশকিছু নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন। আর সেখানেই দেবাংশুর প্রশ্ন, "যারা অশান্তি করেন, ভবিষ্যতে তারা অনায়াসে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারবেন। তখন মার খেতে হবে কর্মীদের.. মরতে হবে সাধারণ সদস্যদের।"