দলের নেতাদের বলে লাভ হয়নি, নিজেই মানুষের কাছে পৌঁছে গেলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 22/08/2022   শেষ আপডেট: 22/08/2022 10:44 a.m.
https://www.facebook.com/ahil.shaikh.969300

সাহায্যের ডালি নিয়ে দুয়ারে বিধায়ক

তিনি নিজেকে 'লেখোয়াড়' হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। সাধারণ হেঁশেল কর্মী থেকে লেখক হয়ে ওঠার অনবদ্য লড়াই সর্বজনবিদিত। বর্তমানে তিনি জনসাধারণের সেবায় এলাকার বিধায়ক। টোটো চালিয়ে মানুষের দোরে দোরে পৌঁছে যান সমস্যার সমাধানে। রাতের অন্ধকারে বালি মাফিয়াদের কাছে 'ত্রাস' হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবার জনসভায় নিজেই দোরে দোরে ঘুরে বেড়াতে চান। সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে চান সরকারি সাহায্য।

https://www.facebook.com/ahil.shaikh.969300

বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Manoranjan Bapari)। টোটো চালিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যান। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, "পশ্চিমবঙ্গের মা মাটি মানুষের সরকার গত বছর দুর্গা পুজার সময়ে দরিদ্র দুঃস্থ মানুষদের জন্য কিছু শাড়ি কাপড় দিয়েছিল। বর্ষার সময়ে দিয়েছিল বিতরনের জন্য কিছু ত্রিপল। আমি সে গুলো ১৭ টা পঞ্চায়েতে ভাগ করে দিয়েছিলাম বিতরনের জন্য। হয়ত তারা সেগুলো নিয়মমত বিতরন করে থাকবেন।"

কিন্তু বিধায়কের এই ডাকে নাকি তেমন কোন সাড়াই মেলেনি। দলের নেতাদের স্লিপে নাম পাঠাতে তিনি অনুরোধ করেছিলেন। যদিও সেই ডাকে কেউ সাড়া দেননি। নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, "এই ভাবে স্লিপ লিখে দিতে অনেক নেতা সময় পাননি - মনের সায় পাননি।"

অগত্যা, নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানুষের দোরে দোরে পৌঁছে গিয়ে সেই সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেবেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে খুঁজে বার করবেন সেইসব মানুষদের। নিজেই বলেছেন, "বাধ্য হয়ে আমি এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রকৃত অভাবী দুঃস্থ মানুষ খুঁজে খুঁজে তাঁর হাতে কাপড় ত্রিপল পৌঁছে দেবার কাজ করছি।" কাজটা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও তিনি এগিয়ে এসেছেন। বলেছেন, "আমার অনেক কাজ ঠিক বিধায়কের উপযুক্ত কাজ নয়। তা হোক, তবু আমি এটাই করবো। কারণ কাজটা তীব্র জরুরি।"