সম্পত্তির হিসেব সহ ছেলেমেয়ের বিয়ের উপহারের ফিরিস্তি, দুই সপ্তাহের মধ্যে হিসেব জমার নির্দেশ মানিককে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 21/06/2022   শেষ আপডেট: 21/06/2022 9:20 p.m.
facebook.com/manik.bhattacharya, twitter.com/paulagnimitra1

কালকের পর আজকেও আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গতকাল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ ফের আদালতে হাজিরা দিতে হল তাকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ তাঁকে সামনে ডেকে কিছু প্রশ্ন করেন। মানিক ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় তোলা হয়নি কারণ তিনি বিধায়ক।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে কিছুটা এমন উত্তর দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য:

নাম: মানিক ভট্টাচার্য

জন্ম: ১৯৫৪ সালের ৭ মে

জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গ

পড়াশোনা: ১৯৭১ উচ্চমাধ্যমিক। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তারপর কমার্সে স্নাতক পাশ বহরমপুর রাজা কৃষ্ণনাথ কলেজ। তারপর এম.কম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। এরপর এলএলবি। যোগেশ চন্দ্ৰ কলেজ থেকে ল পাশ। তারপর এলএলএম। যদিও কোনওদিন প্র্যাক্টিস করা হয়নি।

কর্মজীবনের সূত্রপাত: ১৯৮১ সাল থেকে শিক্ষকতা শুরু।

বাসস্থান: যাদবপুর

পরিবারের সদস্য: স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূ। স্ত্রী গৃহবধু, ছেলে রাজ্য সরকারের এক্সিকিউটিভ আইটি। পুত্রবধূ চিকিৎসক।

এরপর সম্পত্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মানিক বলেন, "নদিয়াতে পৈতৃক বাড়ি আছে। সেখানে কিছু জমি আছে। ৬৫০ স্কোয়ার ফুট ফ্ল্যাটে থাকেন। যাদবপুরেই আর একটি ফ্ল্যাট আছে।" পর্ষদে কোনো সেকেন্ড প্যানেল হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মানিক বাবু বলেন, "সব জানতাম। নিয়োগ রুল অনুযায়ী, এনসিটিই রেগুলেশন অনুযায়ী করেছি। প্রথমে প্যানেল প্রকাশের পর যদি শূন্যপদ থাকে, তাহলে ট্রেনিং ছাড়াও মেধা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের কথা বলা আছে। সাতটি বিভিন্ন ভাষার প্যানেল প্রকাশিত হয়েছে।" এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় সম্পত্তির হলফনামা জমা দিতে হবে বিধায়ককে। সঙ্গে ছেলে মেয়ের বিয়ের সময় উপহারের ফিরিস্তি‌ও। আগামীতে আর কোনোদিন কোনো সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করতে পারবে না তিনি।