কেন বৈষম্য সৃষ্টি করে ২৭৩ জনকেই বাড়তি নম্বর দেওয়া হল? পর্ষদকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/06/2022   শেষ আপডেট: 23/06/2022 4:23 p.m.
কলকাতা হাইকোর্ট

২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ২৭৩ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে আজ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার শুনানি হল আজ, বৃহস্পতিবার। ২৩ লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২৭৩ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে কেন? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষকে প্রশ্ন করে আদালত।

প্রাথমিকের টেটে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদের কাছে জানতে চায়, "প্রশ্ন যদি ভুল থেকে থাকে তবে কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য— সব প্রার্থীদেরই এক নম্বর করে বাড়ানো উচিত ছিল কি না? কেন এই বৈষম্য করা হয়েছে?"

বিচারপতিদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক পর্যায়ে আইনজীবীরা জানায়, আইন মেনে শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত পাল্টা আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কোথাও কি বলা হয়েছিল যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদেরই নম্বর দেওয়া হবে? এর জন্য আগে থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল কি? পর্ষদের আইনজীবীরা অবশ্য তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, প্রাইমারি ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই বরখাস্ত হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ জুন।