মালদার কালিয়াচকে আবারও প্রকাশ্যে শাসকশিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/09/2021   শেষ আপডেট: 07/09/2021 2:37 p.m.
Trinamool Congress flag By VNC200 - Own work, Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=105101076

কটাক্ষ বিজেপির

মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব কিছুতেই মিটছে না। এবার কালিয়াচকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল দলেরই একাংশ। যার জেরে অপসারিত হলেন কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

’১৮র পঞ্চায়েত ভোটে কালিয়াচক ৩ নম্বর সমিতির ৪২টি আসনের ২৭টি দখল করেছিল তৃণমূল। বাকি ১৫টি আসনের মধ্যে ১০টি পায় বিজেপি, কংগ্রেস এবং নির্দল পায় ২টি করে। বামেদের ভাগ্যে জুটেছিল একটি আসন। সেবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি সেই বোর্ডের সভাপতি শাহানারা খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন জেলা তৃণমূলেরই একাংশ। ফলত অপসারিত হতে হয় শাহানারাকে। যদিও ঘটনার পরে বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকারের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে আছেন কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের দলীয় সভাপতি। তিনি বিজেপির সাথে আঁতাত করে শাহানারাকে পদচ্যুত করেছেন।

এদিকে চন্দনা সরকারের অভিযোগের প্রত্যুত্তরে অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি দুর্গেশ সরকারের পাল্টা দাবী, ২০১৮ সালে তৎকালীন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের হাত ধরে বিজেপি সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির কোনও অস্তিত্বই নেই। ফলে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসতেই তা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মালদার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডলের খোঁচা, গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। তাঁর কথায়, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান বা সভাপতিকে সরাতে সাহায্য করবে বিজেপি সদস্যরা।

সমিতি সভাপতির অপসারন সংক্রান্ত বিষয়ে মালদার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অপসারনের বিষয়ে তিনি ওয়াকিবহাল। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মালদায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয়। আগেও কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের বিরনগর ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের আনা অনাস্থায় সরতে হয়েছিল সেখানের পঞ্চায়েত প্রধানকে।