নুনের বদলে দেওয়া হল ডিটারজেন্ট, মিড ডে মিলের খিচুড়ি খাওয়ার পরেই বমি শুরু হলো পড়ুয়াদের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 03/09/2022   শেষ আপডেট: 03/09/2022 10 a.m.
মিড ডে মিল

খিচুড়িতে নুনের বদলে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ দেখিয়ে শিক্ষকের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা

মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা কিন্তু এই নতুন নয়। তবে তাই বলে নুনের জায়গায় সোজা কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবান ব্যবহার করা হবে, এ বিষয়টা সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। অভিভাবকরা দাবি করছেন, শুক্রবার মিড ডে মিল খাওয়ার পর থেকে এই শিশুরা অসুস্থ হতে থাকে এবং তাদের দেহে নানা রকমের উপসর্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অভিভাবকরা স্কুলে চড়াও এখন এটা জানতে পেরে যে তাদের শিশুদের খিচুড়িতে নুনের বদলে মেশানো হয়েছিল ডিটারজেন্ট বা গুঁড়ো সাবান। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো রকম ভাবনা না গ্রহণ করা হলেও তদন্ত করতে শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার অঞ্চলের কাপাসিয়া এলাকায়। শুক্রবার মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেই এলাকার ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। তাদের অভিভাবকদের মধ্যে জয়নুল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক জানান, খাওয়ার পর থেকেই কারো কারো পেটে শুরু হয় ব্যথা আবার কেউ বমি করতে শুরু করে। খবর পেয়ে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বেশিরভাগ পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও একজন এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্কুলের অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা স্কুলে চড়াও হন। প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের দীর্ঘক্ষণ ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। বিকেলে ইটাহার থানার পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এখনো পর্যন্ত অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে। রাঁধুনীদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যাতে আইনানুগ, ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই দাবিতে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঘটনার কথা জানা মাত্রই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।