রাজ্য সরকার পরীক্ষা বাতিল করলেও, উপনির্বাচনের জন্য মরিয়া : অধীররঞ্জন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 25/06/2021   শেষ আপডেট: 25/06/2021 6:01 p.m.
কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী twitter.com/adhirrcinc/

কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট হলে, পরীক্ষা কেন নয়?

গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেছিলেন,"কোভিড পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন কমিশন চাইলেই উপনির্বাচন করতে পারে।" প্রসঙ্গত, রাজ্যে আগামী সাড়ে চার মাসের মধ্যে ৭ আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। যার মধ্যে যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন। রাজ্যের মোট ৭ আসনে উপনির্বাচন বাকি। এখন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই যে কোনও সময় উপনির্বাচন হতে পারে।"

এবার এই প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কটাক্ষ করে বলেন, কোভিডের জেরে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা বাতিল করতে পারে সরকার। কিন্তু ভোট বাতিল করতে পারেন না।

বহরমপুরে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "স্বাস্থ্যবিধিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে রাজ্যে ভোট করতে হবে। ভোট না করলে গণতন্ত্র ফেরানো যাবে না। কিন্তু যেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সেই ভোট করা হয়। বহু পুরসভার ভোট বাকি আছে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি নিয়ম আনুক। যাতে বিশেষ পরিস্থিতিতে ৬ মাসের পরিবর্তে ১ বছর পর উপনির্বাচন করা যায়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হোক। রাজ্যে এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির জন্য। আমরা বলছি, তা হলে ভোটও এখন না করা হোক। কিন্তু রাজ্য সরকার পরীক্ষা বন্ধ করলেও তড়িঘড়ি ভোট সেরে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তা হলে পরীক্ষা হতে কী অসুবিধা ছিল?"

এরপরেই নিজেদের দলের কথা টেনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "কংগ্রেস আমলে রাজ্যের জেলায় জেলায় উন্নয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখন যে দিন টেন্ডার ডাকা হয়, সে দিনই কাটমানি দেওয়া-নেওয়া হয়। এখন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের যা অবস্থা, কখন কে থাকবে, কে থাকবে না, তা নিয়ে সব সময় টানাপড়েন চলছে। ফলে জেলা পরিষদের কাজকর্ম বারোটা বেজে তেরোটা হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। জেলাজুড়ে সব রকম সরকারি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ভোট নিশ্চিত করতে হবে।"