অসুস্থ বাবাকে নিয়ে রাস্তায় লড়াকু মেয়ে ঝিলিক,পাশে দাঁড়ালেন দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 11/12/2021   শেষ আপডেট: 11/12/2021 7:55 p.m.
ঘাটাল সাংসদ অভিনেতা দেব Facebook

সাধ্যমতো ঝিলিকের পাশে থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন দেব

দেব (Dev),বাংলা আধুনিক সিনেমার জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা। চ্যালেঞ্জ,পাগলু টু, বোঝে না সে বোঝে না-এর মতো সফল বানিজ্যিক ছবি যেমন করেছেন, (Entertainment News) তেমনই চাঁদের পাহাড়, জুলফিকার, গোলন্দাজের মতো অন্য ধরনের ছবিও করেছেন। তবে শুধু অভিনেতা হিসেবেই নয়, তিনি জনদরদী ব্যক্তিত্ব হিসেবেও মানুষের কাছে সুপরিচিত। করোনা (Corona) আবহে যেভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের হয়ে কাজ করেছেন তা সত্যিই নজিরবিহীন। এবারে দেব ১১ বছরের একটি মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন। মেয়েটির নাম ঝিলিক। বাবার অসুস্থতার টাকা জোগাড় করতে এইটুকু বয়সেই ঝিলিক বাবাকে নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেছে। এই খবর দেবের কাছে পৌঁছাতেই দেব ঝিলিকের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি সাধ্যমতো ঝিলিকের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

ঝিলিকের বাবার নাম সুশান্ত মন্ডল। সুশান্ত মন্ডল পেশায় একজন শ্রমিক। তিনি সপরিবারে উলুবেড়িয়া থানার হিরাপুর দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরে বসবাস করেন। দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি শয্যাশায়ী। এমনকি তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এই কারণেই স্বাভাবিকভাবেই সংসারে অভাব অনটন বৃদ্ধি পেতে থাকে, তার ওপর রয়েছে সুশান্ত মন্ডলের চিকিৎসার খরচ। সবমিলিয়ে সুশান্ত মন্ডলের পরিবারের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতেই থাকে। সুশান্ত মন্ডলের ১১ বছরের মেয়ে ঝিলিক। ঝিলিকের বয়স ১১ হলেও জীবনযুদ্ধ তাকে অনেক পরিণত করে তুলেছে। তাই ঝিলিক বাবা, মাকে নিয়ে নিজেই ভ্যান চালিয়ে তার গ্রাম রামচন্দ্রপুর থেকে উলুবেড়িয়ায় আসে সাহায্যের আশায়। কিছু সাহায্য মিললেও সারাদিন খাবার খাওয়া হয় না। বাড়ি ফিরে ঝিলিকের সারা শরীরে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। তবুও বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। বাবার দেখাশোনার পাশাপাশি নিজের ক্লাস সিক্সের পড়াশোনাও চালিয়ে যায় ঝিলিক সমান তালে।

সমস্ত ঘটনা শুনে লড়াকু কন্যা ঝিলিকের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেব। পড়াশোনা করার বয়সে যেভাবে মেয়েটিকে কাজ করতে হচ্ছে তা সত্যিই দুঃখজনক দেবের কাছে। দেব জানিয়েছেন, "আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করব। যতটা সম্ভব আমি সাহায্য করব। আমি তো ভগবান নই যে একেবারে ওর বাবাকে সুস্থ করে তুলতে পারব। তবে আমার তরফ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। চেষ্টা করব যাতে ঝিলিক স্কুলে যেতে পারে। ওকে যাতে আর ভ্যানে করে বাবাকে নিয়ে ঘুরতে না হয় সেই চেষ্টা করব। যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আমি বদলাতে পারব না। তবে আগামীদিনে ওর পাশে থাকব।" তবে দেবের একার পক্ষে সম্ভব নয় ঝিলিকের পাশে দাঁড়ানো। তাই সবাইকে একসঙ্গে ঝিলিকের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেব। দেব বিশ্বাস করেন যে মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অবস্থান। তাই এই মানুষরূপী ঈশ্বরদের সেবাতেই দেব নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান সর্বদা।