বর্ধমানে বিজেপির আদি ও নব্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কড়া নজর দলের, শোকজ একাধিক নেতাকে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 24/01/2021   শেষ আপডেট: 24/01/2021 9:04 p.m.

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য সন্দীপ নন্দী সহ ১৪ জনকে শোকজ করা হয়েছে

সম্প্রতি বিজেপির দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল মাঝে মাঝেই চোখে পড়ছে। বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যোগদানের পর থেকে অর্থাৎ দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বিজেপির মধ্যে আদি ও নব্য দুই দলের সৃষ্টি হয়েছে। আদি ও নব্যের দ্বন্দ্বের মাঝে দিন কয়েক আগে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বর্ধমান শহর। বিজেপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চলে ও কার্যালয়ের সামনের জিটি রোডে কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির খুবই অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে গেরুয়া শিবির ঘটনাটি একদমই প্রশ্রয় দেয়নি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য সন্দীপ নন্দী সহ ১৪ জনকে শোকজ করে।

কিছুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তুমুল সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেইদিন বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটির বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর হামলা চালায়। বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকরা এসে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ চলাকালীন, দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সাথে অন্য গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল বিবাদ বাধে। বিবাদ কিছুক্ষণের মধ্যেই সংঘর্ষে পরিণত হয়। জেলা দপ্তরে ভাঙচুর করা হয়। আসলে তারা দলীয় কার্যালয়ের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর অপসারণের দাবিতে জমায়েত করেন। তাদের অভিযোগ, সন্দ্বীপ নন্দীর আমলে দলীয় কার্যালয়ে অনেক ধরনের অনৈতিক কাজ চলছিল। সেই প্রতিবাদে প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। সংঘর্ষ রণমূর্তি ধারণ করলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার জন্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জনকে শোকজ করেন। তাদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।