অনুব্রতর অনুলিপি! বীরভূমের 'বেতাজ বাদশা'-র দৈনিক আয় ৩০ লাখ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 13/08/2022   শেষ আপডেট: 13/08/2022 10 a.m.
অনুব্রত মণ্ডল twitter @ians_india

টাকা দিয়ে তিনি নাকি 'দানধ্যান' করতেন, দাবি অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ মহলের

তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের চক্ষু চড়কগাছ। দৈনিক রোজগার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। প্রতি ঘন্টায় কামাই প্রায় ১.২৫ লক্ষ টাকা। কে এমন রোজগার করতেন? ভাবছেন কোন বড়মাপের ব্যবসায়ী? না, কথা হচ্ছে বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে। তাঁর দৈনিক রোজগার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

পূর্বে কে ছিলেন অনুব্রত মন্ডল? ছিলেন একজন সামান্য মাছ ব্যবসায়ী। দৈনিক রোজগার ছিল মেরে কেটে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর চার-পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই। কথায় আছে, 'আঙুল ফুলে কলাগাছ'! একথা বোধহয় কেষ্টর জন্য সর্বৈব সত্য। গত কয়েক বছরে দিন দিন তাঁর ক্ষমতা, প্রতিপত্তির যে বহর বীরভূমের মানুষ দেখেছেন, আজ এমন কথা শুনে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইছেন না। তবে অনুব্রত বিরোধী এক গোষ্ঠীর অভিমত, আরও খুঁজুন। দেখবেন দৈনিক রোজগার কোথায় পৌঁছে যায়।

এই বিপুল অর্থ ভাণ্ডার কীভাবে তৈরি হল? গরু, কয়লা পাচার থেকে বেআইনি বালি, পাথর খাদান, বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা থেকে এই টাকা জমা পড়ত ‘কেষ্ট’র তহবিলে। বীরভূমের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ তো তিনিই। অর্থের জোগানের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে সব টাকা তিনি নিজে খরচ করতেন না কিংবা নিজের কাছে রেখে দিতেন না। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রচুর দানধ্যান করতেন। দলের কাজ করতেন। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতেন। আর একটা বড় অংশ জমা থাকত নিরাপত্তারক্ষীর কাছে এবং নাকি একজন বিধায়কের কাছে। যে বিধায়ক বর্তমানে সিবিআইয়ের নজরে।

প্রতিটি বেআইনি কাজের ভাগ আসত অনুব্রতর কাছে দাবি এমনটাই করছে সিবিআই। অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী শেহগাল হোসেন গোটা বিষয়টি দেখতেন। তাঁর পাশে ছিল প্রায় ২২ টি ফোন, ৫০ খানা সিম। বালি, কয়লা, গরু সবেতেই ছিল কমিশনের ব্যবস্থা। যে রুট দিয়ে পাচারের মাল যাবে, সেই রুটের সমস্ত পুলিশ স্টেশনও নাকি মালের বখরা সময় মতো পৌঁছে যেত। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। রীতিমতো সিন্ডিকেট রাজ চলত বীরভূম জেলা জুড়ে।