নেই অর্থের যোগান, হেঁশেল বন্ধ হল পূর্ব বর্ধমানের ৫৩৪ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/05/2022   শেষ আপডেট: 08/05/2022 8:08 a.m.

গত ২ মাস ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে অর্থের যোগান দিচ্ছিলেন

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই কোনো যোগান। গত ২ মাস ধরে বকেয়া অর্থ মেলেনি। কেন্দ্রগুলিতে শিশু এবং মহিলাদের জন্য বরাদ্দ খাবার রান্নার খরচ দিচ্ছিলেন সেখানকার কর্মীরা নিজেদের পকেট থেকে। তবে আর নয়। গত শনিবার থেকে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুরের ৫৩৪ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Centre) কর্মীরা শিশু এবং মহিলাদের জন্য খাবার রান্না করার গোটা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলেন।

এই প্রসঙ্গে জামালপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং তাঁদের সহায়িকারা জানিয়েছেন যে এমন অচলাবস্থা চলছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই। করোনা লকডাউনের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে খুলে যায় সব অঙ্গনওয়াড়ি। তারপর থেকেই সবজি, ডিম এবং বিভিন্ন বাজার খরচ দিচ্ছেন তাঁরাই। কিন্তু দু'মাস ধরে নিজ পকেট থেকে খরচ করলেও এখনও অব্দি তাঁরা কোনো টাকা ফেরত পাননি। মুদিখানা এবং সবজির দোকানে অনেক টাকা বকেয়া হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে রান্না করা বন্ধ করা হয়েছে।

তবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন অঞ্চলের অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রসূতি মহিলারা। এছাড়াও সমস্যা রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা। আগে সপ্তাহ সোম থেকে শনি ৬ দিন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার দেওয়া হল। কোনোদিন মেনুতে থাকতো ভাত, ডিম, সবজি; আবার কোনোদিন দেওয়া হত খিচুড়ি। এখানে ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুরা খাবার পেত। অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রসূতিরা ৬ মাস অব্দি পুষ্টিকর খাবার পেত বিনামূল্যেই।

এই প্রসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাদের দাবি, "স্বল্প মাইনে থেকে তারা মুদিখানা এবং সবজি বাজার করে এলেও, এখন সব দোকানে অনেক বড় ধার হয়ে গেছে। তাই দোকানদারেরা জিনিসপত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বকেয়া টাকা আসছে না অভিযোগ জানিয়ে বিডিও এবং জামালপুর সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকদের চিঠি দেওয়া হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।" তবে এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেছেন, "ব্যাংকের অ্যাকাউন্টজনিত সমস্যার জন্য এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য সব টাকা চলে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে।"