Agnipath: বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলাতেও, ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ, বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 17/06/2022   শেষ আপডেট: 17/06/2022 10:58 a.m.
https://www.facebook.com/subhajit.sen.98

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের কারণে জ্বলছে আগুন, সেই বিক্ষোভ এবার বাংলাতেও

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিরোধিতার আঁচ এবার বাংলাতেও। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিরোধিতায় উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগর স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন একাংশ। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, অগ্নিপথ প্রকল্প কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা দেশকে সুরক্ষা দেবেন, যাঁদের জীবন অনিশ্চিত, তাঁদের জন্য এমন প্রকল্প কীভাবে সম্ভব? যেখানে কোন নিশ্চয়তা নেই!

এদিন উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগর, ভাটপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখান একাংশ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, রেল অবরোধের ঘটনা ঘটে। ঠাকুরনগরে রেল অবরোধ হওয়ায় বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। সকাল সাতটা পঞ্চাশ নাগাদ বনগাঁ -মাঝেরহাট লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। তীব্র অশান্তির আঁচ করেই সাময়িকভাবে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এত ট্রেনিং, পরিশ্রমের পর মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগ, এ কখনও মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত তাঁদের জন্য এই বৈরী মনোভাব অযৌক্তিক। এদিনের আন্দোলনকারীরা 'ভারত মাতা কী জয়' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ঠান্ডা ঘরে বসে নেতা-মন্ত্রীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ভাতা নেবেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন, আর দেশের সুরক্ষা দেবেন যাঁরা তাঁদের মাত্র চার বছরের চুক্তিভিত্তিক চাকরি? কীভাবে এইসব মেনে নেওয়া যায়?

উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবিত 'অগ্নিপথ স্কিম' নিয়ে অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। বিহার থেকে গুরগ্রাম এই বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের যুব সম্প্রদায় ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। কোথাও ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, কোথাও রাস্তা আটকে পথ অবরোধ, আবার কোথাও টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যুব প্রজন্ম। একাংশের অভিযোগ, চুক্তিভিত্তিক সেনাবাহিনীতে এই নিয়োগ অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর বিরুদ্ধেই গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

এই বিক্ষোভের আঁচ করেই মোদী সরকার বৃহস্পতিবার রাতে আবেদনের সর্বাধিক বয়সসীমা বাড়িয়ে ২১ থেকে ২৩ করেছে। এই পরিবর্তন কেবল এই বছরের জন্যই করা হয়েছে বলেও সাফ জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমন পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত দু'বছর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ তেমন হয়নি, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই পরিবর্তন। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অভিমত, দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিক্ষোভ আঁচ করেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।