মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের পর এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 08/09/2021   শেষ আপডেট: 08/09/2021 9:04 a.m.

৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত

কোভিড আবহে (Covid-19) আগেই আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম (Curriculum) কমানো হয়েছিল। এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমছে। সূত্রের খবর, রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাঁটাই করার। ইতিমধ্যেই পর্ষদের কাছে পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পাঠানো হয়েছে। পর্ষদ মান্যতা দিলেই প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমবে বলে সূত্রের খবর।

কোভিড অতিমারির কারণে ২০২১-এর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করা হয়েছিল। মূল পাঠ্যক্রমের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিয়ে ২০২১-এর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়। এরমধ্যে একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এমনকী এবারের পরীক্ষা পদ্ধতির ধরণেও বদল আনা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের মাধ্যমিক, একাদশ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষারও সংশোধিত পাঠ্যক্রম বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ। এমনকী নয়া পরীক্ষা পদ্ধতির ধারাও বজায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের বিষয়টি এই প্রথম। সূত্রের খবর, পাঠ্যক্রম কমিটি ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে সংশোধিত পাঠ্যক্রম পাঠিয়ে দিয়েছে। পর্ষদ অনুমোদন দিলেই তা বিজ্ঞপ্তি আকারে সমস্ত বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাবে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, সংশোধিত পাঠ্যক্রম নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পাঠ্যক্রম কমানোর বিষয়টি এত দেরিতে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা চিন্তা করে হয়তো অনেক শিক্ষার্থী তার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এখন এতটা দেরি করে পাঠ্যক্রম কমানোর কোন অর্থ নেই। তাঁদের আরও দাবি, কোন অংশগুলো ছাঁটাই করা হচ্ছে তা-ও দেখার বিষয়। কারণ প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেকটি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদিও আর এক শ্রেণির শিক্ষকদের দাবি, গ্রামাঞ্চলে যেখানে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে না, সেখানকার শিক্ষার্থীদের এই পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ে সুবিধা হবে। আর পুজোর পর স্কুল খুললে সেই অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পুনরায় বুঝে নিতে পারবে।