মাছ ধরতে গিয়ে বিপত্তি! শ্বাসনালীতে আটকে গেল আস্ত কইমাছ, তারপর কী ঘটল!

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/04/2022   শেষ আপডেট: 06/04/2022 9:40 a.m.
-

পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য, অবশেষে হাসপাতালে গিয়ে স্বস্তি

এলাকায় তিনি মাছধরার কাজে অত্যন্ত দক্ষ বলেই পরিচিত। বহু বছর ধরেই পুকুরে নেমে মাছ ধরছেন। না, এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। পুকুরে থাকা ছোট-বড় গর্তগুলির মধ্যে থাকে কই, শিঙি, মাগুর কিংবা অন্যান্য মাছের ঝাঁক। একটু সাবধানে হাত দিলেই কেল্লাফতে! আর জাল দেওয়ার প্রয়োজন নেই, হাতেই উঠবে সের সের কালো মাছ। তবে শিঙি মাছের কাঁটা বিঁধে দেওয়ার ভয় তো আছেই। যাঁরা এইভাবে মাছ ধরতে পটু, তাঁদের কাছে থোড়াই কেয়ার। এক নিমেষে গর্তের ভেতর থেকে মাছ বের করে আনবেনই।

তেমনই পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) চন্ডীপুর এলাকার নছিপুর গ্রামে মাছ ধরেছিলেন বছর চল্লিশের তাপস মাইতি। মাছ ধরতে ধরতে অনেক সময় মুখেই ঠোঁট চেপে রেখে দেন তিনি। তারপর ছুঁড়ে মারেন ডাঙায়। এদিন তেমনই মুখে চেপে রেখেছিলেন আস্ত একটি কইমাছ। সব ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু আচমকাই সেই কইমাছ যে তাপসবাবুর গলায় আটকে যাবে কে তা জানত!

-

হলও তাই! গলায় আটকে শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ। উঠেছে শ্বাসকষ্টের প্রাবল্য। না, দেরি করেননি বাড়ির লোক। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় চন্ডীপুর মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি হয় হাসপাতালে। শুরু হয় গলায় জটিল অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘন্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় গলা থেকে বেরিয়ে আসে আস্ত কইমাছ।

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পরিবারের লোকজন। বর্তমানে তাপস মাইতি আইসিইউতে আছেন। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে মাছ ধরা তো প্রতিদিনের কাজ। আর এই গরমের সময় পুকুর, খালবিলে জল কমে গিয়েছে। এভাবে মাছ ধরার চল সর্বত্র। আর এই মাছ ধরতে গিয়ে যে এমন বিপত্তি ঘটতে পারে, কে তা জানত!