ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা পেল তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দির

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 26/07/2021   শেষ আপডেট: 26/07/2021 9:03 a.m.
রামাপ্পা মন্দির ~ Twitter@NarendraModi

তেলেঙ্গানাবাসীর প্রতি টুইটে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

বিপুল সন্মানে ভূষিত হল তেলেঙ্গানা। ইউনেস্কো (UNESCO) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা পেল তেলেঙ্গানার কাকাতিয়া রূদ্রেশ্বর মন্দির যেটি রামাপ্পা মন্দির নামেও বিশেষ পরিচিত। ২০১৪ সালে এই মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ভারত। অবশেষে গতকাল সতেরোটি দেশের দ্বারা মনোনীত হয়ে এই মন্দিরটি জিতে নিল ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের খেতাব। ইতিমধ্যেই টুইটে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি।

গতদিনের ইউনেস্কোর ভার্চুয়াল অধিবেশনে আঠেরোটি দেশের সম্মুখে রাখা হয় এই প্রস্তাবনা। একমাত্র নরওয়ে বাদে বাকি সতেরোটি দেশ এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। অবশেষে তাদের সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেস্কো। তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলায় অভ্যন্তরীণ পালামপেত গ্রামে অবস্থিত এই মন্দির।

১২১৩ খ্রিস্টাব্দে কাকতিয়া রাজবংশের রাজা কাকতি গণপতি দেবার তত্ত্বাবধানে তাঁর প্রধান সেনাপতি রুদ্র সামানি সুদীর্ঘ ৪০ বছরের চেষ্টায় মন্দিরটি তৈরি করান। স্থপতি রামাপ্পার নামেই এই মন্দিরের নামকরণ। এই মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ তিন দেবতার সহাবস্থান। ভগবান বিষ্ণু, ভগবান মহেশ্বর ও সূর্যদেবকে উৎসর্গ করেই তৈরি হয়েছে এই ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দির। আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে এখানে। এটি হাজারটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে এবং ৬ফুট উঁচু মঞ্চের ওপর রয়েছে মূল মন্দিরটি। এখানের দেওয়ালে ব্যবহৃত ইঁটগুলি জলেও ভাসমান থাকে, যা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়।