জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ পুলিশের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 14/09/2021   শেষ আপডেট: 14/09/2021 9:52 p.m.
ছাত্রদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জ

ঘটনায় রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি

মঙ্গলবার পুলিশের লাঠিচার্জ এবং জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদে সরগরম হয়ে উঠলো বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ অঞ্চল। পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ অঞ্চলে ছাত্ররা একসাথে জড়ো হয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলো। তারপরে যখন পরিস্থিতি চরমে ওঠে এবং তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে আসতে উদ্যত হয়, তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় বলে খবর। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আনুমানিক ৩০০ জন ছাত্র ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া থেকে মাইসোর ব্যাংক সার্কেলের দিকে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তাদের স্লোগান ছিল, 'জাতীয় শিক্ষানীতি ভারতের বিবিধের মধ্যে ঐক্যকে খণ্ডন করছে। আমরা শিক্ষাকে বিক্রি হতে দেব না, আমরা কখনোই জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করব না।'

তাদের প্ল্যাকার্ডে এই সমস্ত শ্লোগান শোভা পাচ্ছিল। যে সমস্ত বিক্ষোভকারীরা পথের বাঁদিকে ছিলেন তারা হঠাৎ করেই পথের মাঝে মাঝে এসে রাস্তা আটকাতে শুরু করেন। ফলে সারা রাস্তায় দীর্ঘ যানজট শুরু হয়। তারপরে হঠাৎ করেই তারা বিধান সৌধের দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচী এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে। বহু ছাত্র রাস্তার মাঝখানে বসে পড়ে যানবাহনের চলাচল আটকে দেয়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ তাদের জোর জবরদস্তি রাস্তা থেকে সরিয়ে পুলিশ ভ্যান এবং বাসে আটক করে।

ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সম্পাদক আতাউল্লাহ খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ কোন কারণ ছাড়া লাঠিচার্জ করেছে। তার বক্তব্য, 'আমরা বিধান সৌধের দিকে একটি মিছিল নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের দাবি গ্রহণ করল না। আমাদের মধ্যে কয়েকজন রাস্তায় বসে পড়ে মিছিলের দাবি জানাতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে।' অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, "ছাত্ররা এই মিছিল এবং সমাবেশ করার জন্য কোনরকম অনুমতি গ্রহণ করেনি। এই বিক্ষোভকারী ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রাস্তায় বসে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপরন্তু তারা ব্যারিকেড ভেঙে বিধান সৌধের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করে। যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাদের উপর হামলা করে তারা। ১০-২০ জন বাদ দিয়ে বাকিরা নিজের আইডি কার্ড পর্যন্ত আনেনি নিজের সাথে। এই কারণেই পুলিশকে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য লাঠিচার্জ করতে হয়।'