ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে ৬ লক্ষ-টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি, তদন্তে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 24/01/2022   শেষ আপডেট: 24/01/2022 9:48 p.m.

ডেটিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের পিছনে কোন বড় মাথা আছে কিনা তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ

আবারো ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের ঠানে জেলার ভায়ান্দার এলাকার ৩৬ বছর বয়সী বিবাহিত এক ব্যক্তিকে ডেটিং অ্যাপ এর ফাঁদে পা দিয়ে তার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতদের একটি দল। সোমবার ওই জালিয়াতদের দলের বিরুদ্ধে লুটপাট, টাকা আদায় করা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক আইনে মামলা দায়ের করেছেন প্রতারিত ব্যক্তি। মহারাষ্ট্রের শ্রী নগর পুলিশ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন বছর ৩৬ এর ওই ব্যক্তি। পুলিশের এক আধিকারিক জানালেন, ওই ব্যক্তি সাধারণত ফার্নিচার তৈরি করার এবং তা বিক্রি করার কাজ করতেন। গত বছর জুলাই মাসে ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ্লিকেশন কোয়াক কোয়াক এর মাধ্যমে ওই প্রতারক মহিলার সঙ্গে পরিচিত হন এই ব্যক্তি। তার সঙ্গে কথাবার্তা চলেছিল দীর্ঘদিন। বেশ ভাল মত পরিচয় স্থাপন করার পরেই তাকে প্রতারণার জালে ফাঁসান ওই মহিলা।

পুলিশ জানাচ্ছে, একদিন ওই ব্যক্তিকে মহারাষ্ট্রের ঠানে শহরের শ্রী নগর এলাকায় ডেকে পাঠায় ওই প্রতারক দল। ওই মহিলা সেই জায়গায় তার জন্য অপেক্ষা করছিল। যখন ঐ ব্যক্তি পৌছলেন তখন এই মহিলা থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ওই ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলার সঙ্গীসাথীরা তাকে ঘরে আটক করে। তাদের মধ্যে একজন মহিলা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেছে বলেও ব্যক্তির অভিযোগ। তারপর মুক্তিপণ হিসেবে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে ওই প্রতারণা চক্র।

ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তারা ওই ব্যক্তিকে হুমকি দেয়, যদি সে ওই টাকা না দেয়, তাহলে তাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং অন্যান্য জায়গায় বদনাম করে দেওয়া হবে। তারপর ওই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয় প্রতারক দল। অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার আগে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ৬,৩২,১০০ টাকা লুট করে ওই প্রতারক দল। মুক্তি পাবার পরেই শ্রী নগর পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।