বিতর্কিত অংশ থেকে সেনা সরানোর যৌথ উদ্যোগ নিল আসাম, মিজোরাম

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 06/08/2021   শেষ আপডেট: 06/08/2021 6:36 a.m.
আজ এমনই রণক্ষেত্র ছিল আসাম মিজোরাম সীমান্ত twitter.com/defencealerts

২৬শে জুলাই দু পক্ষের সংঘর্ষে আসামের ৬ পুলিশকর্মী নিহত হন

কিছুদিন আগেই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ চরমে উঠেছিল। আসাম-মিজো সীমান্তে গোলাগুলি পর্যন্ত চলেছিল। আসামের ৬ পুলিশকর্মী নিহত হন এই সংঘর্ষে। এবার সেই সীমান্ত বিবাদ দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহন করল ‘হেমন্ত’ সরকার এবং ‘জোরামথাঙ্গা’ সরকার।

বৃহস্পতিবারই দুপক্ষের মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক করে দুই রাজ্য নিজেদের সীমান্তের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যে, দুই রাজ্যের কোনও সীমান্তরক্ষী ঐ অঞ্চলে থাকবে না, বরং দুই রাজ্যের অমীমাংসিত সীমান্ত পাহারা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মিজোরামের রাজধানী আইজলের ‘আইজল ক্লাব’-এ দুপক্ষের বৈঠকের পর তাঁরা ঘোষণা করেন, কোনও রাজ্যেরই বনরক্ষী এবং পুলিশ বাহিনী ২৬শে জুলাই ঘটে যাওয়া বিবাদস্থলে কোনও টহলদারি করতে পারবে না বা সেনাদলও স্থাপন করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, বিবাদ ঘটে যাওয়া অঞ্চলগুলি হল, আসামের করিমগঞ্জ, হাইলাকাণ্ডি ও কাহার জেলা এবং মিজোরামের মামিত ও কোলাসিব জেলা। এই সমস্ত জেলাগুলিতে শান্তি স্থাপনারও যৌথ উদ্যোগ নেবে এই দুই রাজ্য।

এদিন বৈঠকে মিজোরামের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিজোরামের গৃহমন্ত্রী লালচামলিয়ানা, অর্থমন্ত্রী লালরুয়াতকিমা এবং হোম সেক্রেটারি ভানলালগাইসাকা। অন্যদিকে আসামের তরফ থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত প্রতিরক্ষা ও কৃষিমন্ত্রী অতুল বোড়া এবং নগরন্নয়ন মন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘাল। সাথে ছিলেন আসামের স্টেট কমিশনার ও সেক্রেটারি জি ডি ত্রিপাঠি।

প্রসঙ্গত, দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা এই প্রথম নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। শুধুমাত্র মিজোরামই নয়, আসামের সাথে এর আগে সীমান্ত নিয়ে সমস্যায় জড়িয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের মতো প্রতিবেশী রাজ্যগুলি।