জিডিপিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে লকডাউন, দাবি এসবিআইয়ের রিপোর্টে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 23/04/2021   শেষ আপডেট: 23/04/2021 5:29 p.m.

রাজ্যগুলির অতিরিক্ত ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়া নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

অতিমারির জেরে অর্থনীতিতে ধাক্কা খাওয়ায় মাথা নামিয়েছে রাজস্ব আদায়। অথচ করোনা মোকাবিলায় খরচ বেড়েছে, বৃদ্ধি হচ্ছে রাজকোষের ঘাটতি তালিকা। তা পূরণ করতে গিয়ে বেড়ে চলেছে ধারের অঙ্কও। এর মধ্যেই ফের জিডিপিতে বড়ো ধাক্কা। চলতি অর্থবর্ষে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে অনেকটাই কমে গেল জিডিপি। চলতি মাসের লকডাউনে জিডিপিতে ০.৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছিল। এসবিআইয়ের মতে, গত পাঁচ মাসে কোভিডের জেরে এসবিআইয়ের মোট ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

এসবিআই রিসার্চের রিপোর্টে ব্যাখ্যা, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির সামগ্রিক ধার ছিল বাজেটের ২.৬%। পরের দু’টি বছরে প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছয়নি রাজস্ব। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে অতিমারির সংক্রমণ সামাল দিতে লকডাউনের জেরে। ফলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার অনেকটাই পিছনে থেকে গিয়েছে রাজ্যের জিএসটি বাবদ আয়, তা কমে হয়েছে ২১.২%। ভ্যাট এবং বিক্রয় কর খাতেও ১৪.৭% আয় কমেছে। এদিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ২০২২-২২ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রজেকশনকে নীচে রেখে সংক্ষিপ্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১১.৪% এবং ১৫.৩% নাম মাত্র জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে করোনা পরিস্থিতির বর্তমান গতির কথা উল্লেখ করে যথাক্রমে ১১.৩% ও ১৫% বৃদ্ধি করেছে। এসবিআইয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা দল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, মহারাষ্ট্র ইতিমধ্যে ৮২,০০০ কোটি টাকার ক্ষতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে, তবে কড়া নির্দেশের মধ্যে চললে এ ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব।

এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যগুলির অতিরিক্ত ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়া নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানিয়েছিল, এ ভাবে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে তাকে সামলাতে গিয়ে মূলধনী খরচ কমাতে হবে রাজ্যগুলিকে। তাতে আর্থিক বৃদ্ধি বাধা পেতে পারে। ধাক্কা খেতে পারে রাজ্যগুলির আর্থিক স্থিতিশীলতা। এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনের জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ৪.৩২ লক্ষ মানুষ ইউপি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম এবং ওড়িশায় ফিরে এসেছিলেন। এর মধ্যে ৩.২৩ লক্ষ শুধুমাত্র ইউপি এবং বিহারে গিয়েছিলেন।