দিনে অন্তত তিন করোনা টিকা (Corona Vaccine) নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয় এখনও পর্যন্ত তিনি অন্তত ৮৭ বার করোনা টিকা নিয়েছেন। ভাবছেন গল্প? না, গল্প হলেও সত্যি! তবে এবার ভারত (India) নয়, এই ঘটনা জার্মানির (Germany)।
সেদেশের The Freie Presse Newspaper রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদেশের ৬১ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮৭ বার করোনা টিকা নিয়েছেন। ধরা পড়লেন কীভাবে? না, কোন সরকারি মাধ্যম কিংবা তথ্য যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে নয়, বরং টিকাকরণ কেন্দ্রের এক কর্মীর নজরে আসেন তিনি। আর কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসে।
ধৃত ব্যক্তির এতবার করোনা টিকা নেওয়ার কারণ কী? তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, যাঁরা করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক, তাঁদের নামেই টিকা নিতেন তিনি। তারপর টিকার শংসাপত্র নিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে দিতেন, যাতে তাঁদের দেশ-বিদেশ সফরে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয়। তাঁকে এককথায় 'অ্যান্টি ভ্যাক্সার' (anti-vaxxers) বলা যায়। এর পেছনে কোন আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক ছিল কী না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কীভাবে তিনি এতবার করোনা টিকা নিয়েছেন? সূত্রের খবর, প্রতিবারই কোন টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতেন নতুন টিকাকরণের কাগজ নিয়ে। টিকা পাওয়ার পর, তিনি ভ্যাকসিন ব্যাচ নম্বরের তথ্য-সহ কাগজগুলি সরিয়ে ফেলতেন এবং ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক লোকেদের কাছে বিক্রি করতেন। লোকটি নাম নথিভুক্তিকরণের সময় নিজের সঠিক নাম, জন্ম তারিখ উল্লেখ করতেন, কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য বিমা কার্ডের নম্বর উল্লেখ করতেন না। তাই গোটা প্রক্রিয়াটি এতটা সহজ হয়েছে জনৈক ব্যক্তির পক্ষে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ভারতে বিহারের একজন অশীতিপর বৃদ্ধের ১১ মাসে ১২ বার কোভিড টিকা নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। এ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু জার্মানির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ করোনা টিকা বিশেষজ্ঞদের। দিনে তিনবার টিকা নিয়েও লোকটি সুস্থ, দেখেই অবাক সকলে। তার সঙ্গে 'অ্যান্টি ভ্যাক্সার' ঘটনায় উদ্বিগ্ন সব মহল!