চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের এই বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার পথে গুয়াংশি এলাকায় আগুন ধরে যায় এবং বিদ্ধ্বস্ত হয়। জানা গিয়েছে, বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু মেম্বার ছিল। এখনও হতাহতের বিস্তারিত এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা সম্ভব হয়নি তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানটিতে একজন আরোহীও আর জীবিত নেই।
এপ্রসঙ্গে ভারতের এভিয়েশন রেগুলেটর ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনের প্রধান অরুণ কুমার বলেছেন, "আজকের আগে একইরকম চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরে সমস্ত ভারতীয় ক্যারিয়ারের বোয়িং ৭৩৭ গুলিকে 'বর্ধিত নজরদারির' আওতায় আনা হয়েছে।" সোমবারের দুর্ঘটনার পর ডিজিসিএ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাওয়া হলে, কুমার পিটিআইকে বলেন, "ফ্লাইট নিরাপত্তা একটি গুরুতর ব্যবসা এবং আমরা পরিস্থিতিটি খতিয়ে দেখছি। আমরা আমাদের ৭৩৭ এর দিকে বিশেষ নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করছি।"
প্রসঙ্গত, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সিরিজেরই একটি উন্নত সংস্করণ এবং উভয়ই ৭৩৭ সিরিজের অন্তর্গত। মার্কিন ভিত্তিক বিমান নির্মাতাকে বোয়িং এর বিষয়ে বলার জন্য পিটিআই অনুরোধ জানালে তারা কোনো সাড়া দেননি। উল্লেখ্য,২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ এর মার্চ এর মধ্যে দুবার ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। এর জেরে মোট ৩৪৬ জন নিহত হয়েছে। এই দুটি দুর্ঘটনার পরে, ডিজিসিএ ২০১৯ সালের মার্চে ভারতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেনটি ব্যান করে দেয়। তবে গতবছরের আগস্টে বোয়িং ৭৩৭ বিমান নিজের যন্ত্রাংশে যথেষ্ট সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করলে টানা ২৭ মাস পর ব্যান তুলে নেওয়া হয়।