তখন সবে সন্ধে নেমেছে। কাজের শেষে মানুষ পার্কে বসে সবে জমিয়েছে আড্ডা। একে অপরের সঙ্গে সারাদিনের কর্মকাণ্ডের বিনিময় শুরু হয়েছে। এমন সময় আচমকাই এক ব্যক্তি উপস্থিত অস্ত্র নিয়ে। তবে বন্দুক কিংবা কোন ভয়ংকর অস্ত্র নয়। এসেছে তীর-ধনুক নিয়ে। আচমকাই বেপরোয়া ভাবে একের পর এক তীর ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনায় তৎক্ষণাৎ পাঁচ জনের মৃত্যু, দু'জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার সেই আততায়ী।
ঘটনাটি নরওয়ের (Norway)। বুধবার সন্ধ্যায় নরওয়ের কংবার্গ শহরের একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে এই আততায়ী। ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। দু'জন গুরুতর আহত। গতকাল সন্ধ্যায় নরওয়ে পুলিশের কাছে খবর আসে, নরওয়ের রাজধানী ওসলোর পশ্চিমের এক শহরে হামলার কথা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে ওই আততায়ীকে গ্রেফতার করে ফেলে। যদিও ততক্ষণে সেই ব্যক্তি পাঁচ পাঁচটি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
এমন ঘটনার কারণ কী? নরওয়ে পুলিশ বিষয়টি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও মনে করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই ঘটনায় কেবল ওই একজন ব্যক্তিই জড়িত ছিল। যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, আচমকাই এক ব্যক্তি তীর-ধনুক হাতে উপস্থিত হয়। আর মানুষের দিকে লক্ষ্য করে একের পর এক তীর ছুঁড়তে শুরু করে। কেন সেই ব্যক্তি এমন ঘটনা ঘটালেন এখনও পরিষ্কার নয়।
এই ঘটনায় সে দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সকল ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি তীর দেখে পুলিশের অনুমান এই তীরগুলি প্রতিযোগিতায় ব্যবহার করা হয়। তাই আততায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কী না সেদিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।