পাঁচ দিনের যুদ্ধ শেষ। অভিযোগ, লাভ জিহাদের শিকার হয়ে শেষমেশ মারাই গেলেন দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলছাত্রী অঙ্কিতা কুমারী। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঘুমন্ত অবস্থায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর আগে তিনি পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
গত ২৩ অগাস্টের ঘটনা। ঘটনাটা ঘটেছিল ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার জারুয়াডিহ এলাকায়। ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতা কুমারী। আচমকাই পোড়া পোড়া গন্ধ পান। ঘুম ভাঙতেই দেখা যায় সারা গায়ে আগুন লেগে গেছে। জানলার পাশ থেকে একজন দৌড়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বুঝতে পারেন গোটা ঘটনা। দৌড়ে আসে অঙ্কিতার বাবা-মা। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও কিছু করা যায় নি। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অভিযোগ, তাঁর শরীরের অন্তত ৯০ শতাংশ জায়গা পুড়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপি। এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুমকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইতিমধ্যেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত শাহরুখ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। শাহরুখের ফাঁসির দাবি করেছে স্থানীয় হিদ্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।
মৃত্যুর আগে হাসপাতালে শুয়ে অঙ্কিতা জানিয়ে গিয়েছে, দিন দশেক আগে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। তাঁকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি রাজি হননি। পরে গত সোমবার আবার ফোন করে বিরক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ‘বন্ধুত্ব’ না করলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। ভয় পেয়ে বাবাকে সব কথা খুলে বলেছিলেন তরুণী। বাবা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন পরের দিন ব্যবস্থা নেবেন। এর পর রাতে যে যার ঘরে ঘুমোতে চলে যান তিনি। আর রাতেই ঘটে যায় এমন রোমহর্ষক ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাভ জিহাদের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।