আধুনিক যুগে সর্বত্রই আধুনিকতার ছোঁয়া। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি, আট থেকে আশি সকলের মধ্যেই বাড়ছে ফোনের প্রতি আসক্তি। কেউ দরকারে, কেউ আবার অদরকারে দিনের পর দিন বাড়িয়ে তুলছেন মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশি হয়ে গিয়েছে। এবং বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯১% মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
পরিসংখ্যান এমন কথা বললেও, বহু অভিভাবক ডাক্তারদের কাছে গিয়ে এখনও অভিযোগের সুরে বলেন, "ফোন না দিলে খাবার খেতে চাইছে না"। কেন? কখনও ভেবেছেন কেন আপনার শিশু ফোনের প্রতি এতটা আসক্ত হয়ে পড়েছে? নেহাত শিশু বলে? আপনি এমনটা মনে করলেও, আদতে তা নয়।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
হাতে গুনে শেষ করা যায় না, এমন বহু শিশু রয়েছে যারা নিত্য দিন খাওয়া নিয়ে নানা সমস্যা করে। মোবাইল কিংবা টিভি ছাড়া এক গালও খেতে চায় না। আবার এ সময় তাদের ইচ্ছের দাম দিয়ে তাদের হাতে মোবাইল দিলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, খাওয়ার তুলনায় টিভি কিংবা মোবাইলে চালানো কার্টুনটার প্রতি মনোযোগ অনেক বেশি তাদের। কাজেই, ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাচ্ছে কিন্তু খাওয়ার শেষ হচ্ছে না।
![Parenting Tips Bengali News](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails-big/2022/01/31/IMG_31012022_172848_1080_x_720_pixel.jpg)
এক্ষেত্রে কীভাবে আসক্তি কাটাবেন? মনে রাখবেন, শিশুরা তাদের অভিভাবকদেরই অনুসরণ করে। তাই প্রথমে অভিভাবকদেরই বাচ্চার সামনে অদরকারে ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। কখনোই নিজের দরকারি কাজ সারার জন্য বাচ্চার হাতে ফোন ধরিয়ে দেবেন না।
অনত্র নয়, খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করান। প্রয়োজনে গল্প শুনিয়ে খাওয়াতে পারেন। খাওয়ার সময় বাচ্চার হাতে ফোন দেবেন না, টেলিভিশনের সামনেও যেতে দেবেন না খাওয়ার সময়।
এছাড়াও টিভি দেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। এবং বাকি সময় খেলাধুলো, আঁকা, পড়াশোনা, গান-বাজনার মধ্যে রাখুন আপনার সন্তানকে।