চিয়া বীজ (Benefits of Chia Seeds), আকারে ক্ষুদ্র হলেও এটির উপকারি তালিকা শেষ হওয়ার নয়। প্রোটিন এবং ফাইবারের মত উপাদেয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই চিয়া বীজ সালভিয়া হিস্পানিকা (Salvia Hispanica) উদ্ভিদের অংশ বিশেষ। চিয়া বীজের অতুলনীয় পুষ্টিগুণের জন্য মানুষ তাঁর খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পছন্দ করছেন। এখন সকলেই শরীর সচেতন। চিয়া বীজও শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম চাবিকাঠি। সেই হিসেবে উত্তরোত্তর চিয়া বীজের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে।
এক আউন্স (২৮ গ্রাম) চিয়া বীজে ১১ গ্রাম ফাইবার, ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৯ গ্রাম ফ্যাট (৫ গ্রাম ওমেগা ৩) বর্তমান।
চিয়া বীজ আপনি স্যালাডে, দইয়ে, গরম জলে বা খাদ্যের ওপর ছড়িয়ে খেতে পারেন।
চিয়া বীজের কার্যকরী ভূমিকাগুলি হল-
১) হাড়ের দৃঢ়তা - চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম (RDA এর ১৮%) এবং ম্যাগনেশিয়াম (RDA এর ৩০%) থাকে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে।
২) ওজন হ্রাস - ফাইবার একটি ফ্যাট রোধক উপাদান। প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট সমৃদ্ধ হওয়ায় চিয়া বীজ ওজন হ্রাস করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৩) মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- ত্বক, চুল সতেজ রাখা এবং ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে দূরে রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দায়ী। চিয়া বীজে যার পরিমাণ অত্যধিক বেশি।
৪) উচ্চমানের প্রোটিন - নিরামিষাশী ব্যক্তিদের জন্য সুখবর। অত্যধিক এবং উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় নিরামিষ-ভোজীরা অনায়াসে চিয়া বীজ গ্রহণ করতে পারবেন। মাছ, মাংস, ডিম না খেলেও তাঁদের শরীরে প্রোটিন ঘাটতি ঘটবেনা।
৫)শক্তি বৃদ্ধি - প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ এবং ভিটামিন থাকায় চিয়া শরীরকে উপযুক্ত শক্তি প্রদান করতে সক্ষম হয়।
৬) মধুমেহ রোগের উপশম - শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি মধুমেহ বা ডায়াবেটিসের মূল কারণ। চিয়া বীজ শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করে।
৭) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ - চিয়া বীজের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ ক্লোরজেনিক অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা অবলম্বন- ভালোর মত, চিয়া বীজের কিছু উল্টো পিঠও আছে। অর্থাৎ খারাপ দিক। চিয়া বীজ প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। এমনকি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার দরুন পেটের সমস্যাও হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, আপনার শরীরের উপযোগী, সঠিক পরিমাণ চিয়া বীজ গ্রহণ করতে হবে।