দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির বেহাল দশা কাটাতে ধীরে চলো নীতিতেই আস্থা রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)। যে কারণে এই নিয়ে অষ্টম বার রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিন মনিটারি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।
কোভিড পরিস্থিতি (Covid-19) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। আবার গোটা দেশ কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাংশ। এমন ধারা চলতে থাকলে ভারতে এই অর্থবর্ষের পাশাপাশি আগামী অর্থবর্ষেও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। এমন পরিস্থিতি আঁচ করেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার রেপো রেট অক্ষুণ্ণ রাখল। শুক্রবার এক বিবৃতি মারফত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, অর্থনীতি যাতে সকল ধাক্কা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য রেপো রেট আগেই মতোই ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রিভার্স রেপো রেটও আগের মতোই ৩.৩৫ শতাংশেই রাখা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা দেশের উপর কেমন প্রভাব তৈরি করে সে সব বিষয়ে আগাম পর্যালোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আরও বলেছেন, পরিস্থিতি যাই আসুক ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.৫ শতাংশেই থাকবে। যদিও মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ এই অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ফিরে আসছে বলে সরকার যে দাবি করছে, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ফিচ। তাদের দাবি ভারতের অর্থনীতি এখনও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি। তাই ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশের আশেপাশে থাকবে। যদিও ২০২৩ সাল থেকে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে ফিচ।