বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাঁদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে, মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি মঙ্গলবার লিখিত জবাবে জানিয়েছেন যে, এই তিন পলাতক শিল্পপতি তাঁদের সংস্থার মাধ্যমে সরকারি ব্যাঙ্কের তহবিল চুরি করেছে যার ফলে ঋণদাতাদের মোট ২২,৫৮৫.৮৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তিনি এও বলেন, "১৫ মার্চ ২০২২ সালের মধ্যে পিএমএলএ (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন)–এর অন্তর্গত ১৯,১১১.২০ কোটি টাকা সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে।" ১৯,১১১.২০ কোটি টাকার মধ্যে ১৫,১১৩.৯১ কোটি টাকার সম্পদ সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ভারত সরকার ৩৩৫.০৬ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। চৌধুরির কথায়, "১৫ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত, এই ক্ষেত্রে মোট প্রতারিত তহবিলের ৮৪.৬১ শতাংশ সংযুক্ত/ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কগুলির মোট ক্ষতির ৬৬.৯১ শতাংশ ব্যাঙ্কগুলিতে হস্তান্তর করা হয়েছে/ভারত সরকারের কাছে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।"
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান যে, ১৫ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত, এসবিআই–এর নেতৃত্বে ব্যাঙ্কগুলির কনসোর্টিয়াম ৭,৯৭৫.২৭ কোটি টাকা রপ্তানি করেছে যা তাদের হাতে এনফোর্সমেন্ট অধিদপ্তর কর্তৃক সম্পদ বিক্রি করার পর হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০০২ (পিএমএলএ) এবং পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী আইন, ২০১৮ (এফইওএ) অনুযায়ী অপরাধের বিচারকারী বিশেষ আদালত ব্যাঙ্ক সহ বৈধ সুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের দাবিদারের কাছে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত কোনও সম্পত্তি/সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই তিন পলাতক শিল্পপতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যতদূর খবর, বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন মালিয়া এবং নীরব। তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। অন্য দিকে ডমিনিকার জেলে বন্দি রয়েছেন চোকসি। তাঁকেও ভারতে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি।