মধ্যরাত থেকেই জারি জরুরি অবস্থা, বিক্ষোভের মাসেই ঘোষণা করলেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 07/05/2022   শেষ আপডেট: 07/05/2022 6:24 a.m.
গোতাবায়া রাজাপক্ষে https://twitter.com/GotabayaR/

অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের দিন এই বড় সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলংকা সরকার

আজ মধ্যরাত থেকেই জরুরি অবস্থা জারি হতে চলেছে গোটা শ্রীলঙ্কায়। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa)। এই ঘোষণায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন শ্রীলংকাবাসী। অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে যেখানে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেই দিনেই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্ত। পহেলা এপ্রিলের পর আবারও শ্রীলঙ্কায় জারি হতে চলেছে জরুরি অবস্থা। তাই দ্বিতীয়বার এই জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছে শ্রীলংকার সাধারণ মানুষ।

অর্থনৈতিক সংকটের ইতিমধ্যেই শ্রীলংকা সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল গোটা শ্রীলংকা। শুক্রবার থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। এছাড়াও পড়ুয়াসহ ট্রেড ইউনিয়নের সমস্ত স্তরের মানুষেরা পালন করছেন কর্মবিরতি এবং ধর্মঘট। শুক্রবার সকালে পড়ুয়ারা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করেন বলেও খবর। সেই সময় কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে তাদেরকে আটকে দেয় পুলিশ। শ্রীলংকার স্বাধীনতার পর থেকেই এই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এতটা দুর্দশার পরিমাণ এর আগে দেখা যায়নি। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফ থেকে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে চলতি বছরের মধ্যে ৬৯০ কোটি ডলার ব্যয় করার ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য থেকে শুরু করে কৃষিক্ষেত্রে সারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে এই সমস্ত জিনিসের দাম রীতিমতো আকাশছোঁয়া। মাসের পর মাস এই ভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছে। একদিকে যেমন ট্রেড ইউনিয়নের ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন কলকারখানার কর্মীরা, সেরকমই তাদের কলকারখানায় কালো পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। সঙ্গেই গণপরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও কর্মবিরতি পালন করলেন। একটা বড় সময় পর্যন্ত ট্রেন এবং বাস এর মত পরিষেবা বন্ধ ছিল শ্রীলঙ্কায়। ইতিমধ্যেই বর্তমান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে মাস খানেক ধরেই তার কার্যালয়ের বাইরে চলছে বিক্ষোভ। এখনো পর্যন্ত তাদেরকে শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে আবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা, রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।